অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর এবং ক্রিকেট খেলোয়াড় মনসুর আলী খান পাতৌদির সন্তান বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খান। নিজের অভিনয় দক্ষতা দিয়ে অনুরাগীদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। অভিনয় জীবনে দর্শকদের উপহার দিয়েছেন, ‘আশিক আওয়ারা’, ‘বিবি নং-১’, ‘এক হাসিনা থি’, ‘রেস ২’-এর মতো জনপ্রিয় সিনেমা।
বিজ্ঞাপন
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে থেকে রাহুল ঢোলাকিয়া পরিচালিত ওয়েব সিনেমার শুটিং শুরুর কথা থাকলেও অভিনেতা সাইফের ওপর হামলার কারণে তা পিছিয়ে যায়। ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নেটফ্লিক্সের জন্য নতুন এ ছবিতে ঐতিহাসিক চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেতাকে। যেখানে নির্বাচন কমিশনারের চরিত্রে অভিনয় করবেন সাইফ আলী।

জানা গেছে, ভারতের প্রথম নির্বাচন কমিশনার সুকুমার সেনের চরিত্র পর্দায় জীবন্ত করে ফুটিয়ে তুলবেন বলি তারকা। স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুযুগে নির্বাচনী প্রক্রিয়া কীভাবে সামাল দিয়েছিলেন একজন বাঙালি। সেই গল্প অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে এ সিনেমা।
গতকাল রবিবার থেকে মুম্বাইয়ের বাল্লার্ড এস্টেটের হোটেলে শুরু হয়েছে ছবির শুটিং।

বলে রাখা ভালো, অভিনেতার ওপর হামলার পর এই প্রথম কোনো সিনেমার শুটিং করছেন। আগামী কয়েক সপ্তাহ ধরে মুম্বাইয়ের বিভিন্ন লোকেশনে শুটিং করবেন। সইফ ছাড়াও এই ছবিতে দেখা যাবে দীপক ডোবরিয়াল,প্রতীক গান্ধীকে।
সুকুমার সেন সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য
স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু। তার সময় থেকেই ভারতে গণতন্ত্রের চর্চা শুরু হয়। গণতন্ত্রের অন্যতম লক্ষ্য ও উদ্দেশ সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। সুষ্ঠ নির্বাচন নিশ্চিত করার গুরু দায়িত্ব পালন করেন সুকুমার সেন।
ভারত স্বাধীন হওয়ার দুই বছর পর ১৯৫১ সালে প্রথমবার গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তখন ৪,৫০০ আসনে ভোট কেন্দ্র ছিল ২,২৪,০০০ । ২০ লাখ ইস্পাতের ব্যালট বক্স। ৫৬,০০০ প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারি প্রিসাইডিং অফিসার ২৮,০০০০ কর্মী।
সাইফ আলী খানের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিলেন 'কেডি পাঠক'
এই বিপুল কর্মযজ্ঞের জন্য তখনকার প্রধানমন্ত্রী নেহরু, সুকুমার সেনকে বেছে নিয়েছিলেন। সম্ভবত সেটা তার একাধারে প্রসাশনিক দক্ষতা থাকার কারণেই সম্ভাব হয়েছিল। বাইশ বছর বয়সে সুকুমার সেন যোগ দিয়েছিলেন ভারতীয় সিভিল সার্ভিসে।
দীর্ঘদিন সরকারের বিভিন্ন দফতরে কাজ করেন। এরপরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিবের পদোন্নতি পান। সেখানে থেকেই সুকুমারের কর্মদক্ষতার কথা পৌঁছেছিল প্রধানমন্ত্রীর কানে। এরপর তাকে নির্বাচন কমিশনের পরিচালক হিসেবে নিযোগ করা হয়।
ইএইচ/

