দেশের গুণী অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে অন্যতম আজাদ আবুল কালাম। এবার কাঁধে নিলেন নেতৃত্বের ভার। ছোটপর্দার অভিনয়শিল্পীদের সংগঠন অভিনয়শিল্পী সংঘের নির্বাচনে সভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছেন তিনি। সংঘের সামনের দিনগুলো কীভাবে সাজাতে চান নবনির্বাচিত এই সভাপতি— সেসব ভাগ করেছেন ঢাকা মেইলের সঙ্গে।
নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে আপনার প্রথম পদক্ষেপ কী হবে?
বিজ্ঞাপন
পূর্ববর্তী কমিটি অনেকগুলো কাজ শুরু করেছিল। এরমধ্যে কিছু অসমাপ্ত রয়ে গেছে। আর কিছু আছে প্রাথমিক পর্যায়ে। সেগুলো রূপদান করা হবে প্রথম কাজ।

সংগঠনের কোন জায়গাগুলো মেরামত প্রয়োজন বলে মনে হচ্ছে?
সংগঠন মেরামত একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা প্রতিদিন নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হই এবং মোকাবেলা করি। এই কমিটিতে যারা আছেন তারা অপেক্ষাকৃত নবীন। নবীন নেতৃত্বের অনেকগুলো ভালো দিক আছে। তাদের সতেজ চিন্তাভাবনাকে কাজে রুপ দিতে চাই। সঙ্গে বয়োজ্যেষ্ঠদের চিন্তাভাবনা মিলিয়ে সামনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা থাকবে।
বিজ্ঞাপন
শিল্পীদের অনেকে আছেন যারা ভোটার নন। তাদের নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত?
ভোটার না এরকম সংখ্যা খুব বেশি না। ভোটার হয়েছিলেন কিন্তু হালনাগাদ করা হয়নি, চাঁদা দেওয়া হয়নি। সেসব কারণে ভোটার হতে পারেননি। আবার কেউ কেউ শুরু থেকে সংঘের সঙ্গে নেই। তাদের কাছেও যুক্তি আছে। তারা সিনেমাতে কাজ করছেন। তাছাড়া এখন তো অনেকগুলো প্ল্যাটফর্ম। সেসব জায়গায় যারা কাজ করছেন তারা আমাদেরই অংশ। চেষ্টা থাকবে সবাইকে এক ছাতার নিচে আনার।

নিকট অতীতে শিল্পীদের সংগঠনগুলোকে রাজনৈতিক বা দলীয় দোষে দুষ্ট হতে দেখা গেছে। এ বিষয়ে আপনার ভাবনা কী?
আমাদের ব্যক্তিগতভাবে কোনো রাজনৈতিক পছন্দ থাকতে পারে। রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী হতে পারি। কিন্তু অভিনয়শিল্পী সংঘের ক্ষেত্র আমাদের একটাই পরিচয় হবে। সেটা হলো অভিনয় শিল্পী। আমার দর্শনের জায়গাটা পরিষ্কার। আমি পেশাদার অভিনয়শিল্পী। এর বাইরে রাজনৈতিক পরিচয় যেটাই হোক সেটা সংগঠনের সঙ্গে যেন কখনও গুলিয়ে না ফেলি।
ঠিক কোন কারণে এবার নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন?
পরপর দুইবার সংঘের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলাম। এর আগের বার আমাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচন করতে বলা হয়েছিল। তখন প্রস্তুত ছিলাম না। এবার আমার নির্বাচনে আসাটা সবার একটা দাবির মতো ছিল। বড়দের এবং ছোটদের দিক থেকে। দাবিটা প্রথমে আমি এড়িয়ে যাই। পরে ভেবে দেখলাম এই দাবির প্রতি আমার একটা সম্মান দেখানো উচিত। সেজন্য আমি ইলেকশনে দাঁড়িয়েছি এবং নির্বাচন করেছি।
আরআর

