দক্ষিণী চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু অভিনয় জীবনে দর্শকদের উপহার দিয়েছেন পঞ্চাশের বেশি সিনেমা। পরিচালক গৌতম বাসুদেব মেননের তামিল ছবি ‘বিন্নৈথান্দি ভারুভায়া’তে অভিনয়ের মাধ্যমে শোবিজে যাত্রা শুরু করেন।
শরীরের বিশেষ অংশে ছিল নাগার শেষ স্মৃতি, সেটিও মুছলেন সামান্থা
বিজ্ঞাপন
অপ্রিয় সত্য মুখের ওপর বলতে ভালোবাসেন দক্ষিণী অভিনেত্রী সামান্থা। তাতে অনেকের অস্বস্তি তৈরি হলেও তা নিয়ে ভাবেন না অভিনেত্রী। সমাজে নারী প্রতি বৈষম্যমুলক আচারণ করায় রাগডাক ছাড়াই বললেন, নারীদের ঋতুস্রাব নিয়ে এখনও নানা গোঁড়ামি থেকে গেছে।
সময় এগিয়েছে। সমাজ থেকে লিঙ্গবৈষম্য দূর হতে চলেছে। সবাই সাম্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ঋতুস্রাব নিয়ে এখনও নানা গোঁড়ামি থেকে গেছে। নারীর দেহের এমন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া নিয়ে কেন এমন নীরবতা?
বিজ্ঞাপন
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, ‘নারী হিসেবে আমরা অনেকটা পথ এগিয়ে এসেছি। কিন্তু তাও ঋতুস্রাবের কথা উঠলে নীরবতা তৈরি হয়। ফিসফাস করা হয়। এটাকে লজ্জার বিষয় হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। এ ধরনের গোঁড়ামি ও পিছিয়ে পড়া ধারণা থেকে বের হওয়ায় উচিত।’
তিনি যোগ করেন, ‘আমাদের ঋতুস্রাব শক্তির প্রতীক। সবচেয়ে বড় কথা— এটা সুস্থতার লক্ষণ। এ বিষয়টি লুকিয়ে রাখার বা লজ্জা পাওয়ার মতো কিছুই নেই।’
ঋতুস্রাবের সময় নারীর মন-মেজাজ পরিবর্তন হয়। এ বিষয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘ঋতুস্রাব আমাদের মন ও শরীরের ওপরেও প্রভাব ফেলে। এ বিষয়টি সম্পর্কে আমাদের অনবরত শিক্ষা নেওয়া উচিত।’
খাবার ছাড়া থাকা সম্ভব, শারীরিক চাহিদা ছাড়া না: সামান্থা
বলে রাখা ভালো, সামান্থাকে শেষবার ‘সিটাডেল হানিবানি’ ওয়েবসিরিজ দেখা গেছে। তার বিপরীতে ছিলেন বরুণ ধাওয়ান। এদিক ২০২১ সাল অভিনেতা নাগা চৈতান্যর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর এখনও বিয়ে করেননি অভিনেত্রী।
ইএইচ/
