দ্বন্দ্বের ঢেউ প্রচন্ড গতিতে আছড়ে পড়ছে। এই বুঝি নদীর পাড়ের মতো ভেঙে যাচ্ছে ওমর সানি-মৌসুমীর সংসার। অনুরাগীদের সন্দেহ, হয়ত শিগগিরই বিচ্ছেদের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে চলেছে। চড় ও পিস্তল-কাণ্ডে ওমর সানিকে মিথ্যাবাদী দাবি করে জায়েদ খানের সাফাই গাওয়ায় সন্দেহের সূত্রপাত।
স্ত্রীর অসম্মান স্বামী হিসেবে মেনে নিতে পারেননি ওমর সানি। সেকারণে, রাজধানীর একটি কনভেনশন হলে ডিপজলের ছেলের বিবাহোত্তর অনুষ্ঠানে জায়েদের ওপর চড়াও হন তিনি। পাল্টা জায়েদও নাকি তাকে পিস্তল উঁচিয়ে গুলির হুমকি দেন!
বিজ্ঞাপন

ঘটনার পর চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে অভিযোগ করেন ওমর সানি। কিন্তু হঠাৎ গণমাধ্যমে পাঠানো এক অডিও বার্তায় মৌসুমী জানান, জায়েদ তাকে সম্মান করেন। তিনিও তাকে স্নেহ করেন। তাদের ভেতর কোনো ঝামেলা হয়নি।
পাশার দান ঘুরিয়ে দেওয়ায় মৌসুমীর প্রতি খুশি নন ওমর সানি। যদিও ঢাকা মেইলের সঙ্গে কথা বলার সময় স্ত্রীর প্রতি তার অগাধ ভালোবাসার বিষয়টি বারবার সামনে এনেছেন। তবে না চাইতেও তাদের মধ্যকার দূরত্বের কথাটি স্বীকার করে ফেলেছেন।
ওমর সানি বলেন, ‘মৌসুমী কী ভেবে এমনটা বলেছে—আমি জানি না। আমি অবাক হয়েছি বেশ। বিষয়টি নিয়ে আমাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। আমার পক্ষ থেকে চেষ্টা করছিলাম সমাধানের। কিছুদিন ধরে তার সঙ্গে আমার ফোনে কথা হচ্ছিল না।’
বিজ্ঞাপন
বেশ কয়েক বছর ধরে গুঞ্জন রটেছিল, এক ছাদের নিচে থাকলেও স্বামী-স্ত্রীর ওই ভালোবাসা তাদের মধ্যে নেই। সংসার টিকিয়ে রাখতে ওমর সানি একতরফা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। উড়তে থাকা সেই গুঞ্জনের পালে হাওয়া দিলো তার এই মন্তব্য।

ওমর সানি বলেন, ‘আমি চাই না আমার ২৭ বছরের সংসারে কোনো কারণে ভুল বোঝাবুঝি হোক। কিন্তু বাইরের মানুষ এসে সংসার ভাঙার চেষ্টা করছে। আপনারা নিজেরাই জানেন, সে কে! তাকে আপনারা চেনেন।’
সংসার টিকিয়ে রাখতে হাল ছাড়তে চান না ওমর সানি। সেজন্য তিনি মৌসুমীকে নিয়ে কোনোরকম নেতিবাচক মন্তব্য না করার অহ্বান জানান। পরিবার সম্পর্কেও বাজে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৫ সালের ২ আগস্ট ভালোবেসে বিয়ে করেন ওমর সানি ও মৌসুমী। প্রতিনিয়ত তারকাদের সংসার ভাঙার খবরের বিপরীতে তারা ছিলেন ব্যতিক্রম উদাহরণ।
আরএসও

