সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ঢাকায় শাবনূরের ৮ ঘণ্টার ঝটিকা সফর, জানা গেল কারণ

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫০ এএম

শেয়ার করুন:

ঢাকাই শাবনূরের ৮ ঘণ্টার ঝটিকা সফর, জানা গেল কারণ

বাংলা সিনেমায় খুব কম নায়িকাই আছেন, যারা আবেগে ভাসাতে পেরেছেন দর্শকদের। হাতে গোনা এমন কয়েকজন অভিনেত্রীর মধ্যে একজন শাবনূর। সাম্প্রতিক বছরগুলো পরিবার নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন একসময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা। কিছুটা সময় হাতে নিয়ে মাঝে মধ্যে দেশে আসেন তিনি।
 
গত ২৮ মার্চ ঢাকাই এসেছিলেন ঢালিউড অভিনেত্রী। দেশে ছিলেন মাত্র ৮ ঘণ্টা। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান শাবনূর। 

শাবনূরের মা, ভাই-বোন ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করেন। কিন্তু গত ছয় মাস শাবনূরের মা বাংলাদেশে ছিলেন। এরই মধ্যে অভিনেত্রী খবর পান মায়ের অসুস্থতার। তাই  ঝটিকা সফরে ঢাকাই আসতে হয় শাবনূরকে।


বিজ্ঞাপন


473552619_1181265413374026_447330887164313274_n

তিনি বলেন, “এক মাস ধরে আম্মা বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। প্রতিনিয়ত ফোনে কথাবার্তা হচ্ছিল। ঢাকার বড় বড় হাসপাতালের ৩-৪ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দেখিয়েছেন। কিন্তু কোনোভাবেই তারা আম্মার রোগ ধরতে পারছিলেন। এদিকে আম্মার শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকে। একটা সময় বোঝা গেল, আম্মার নিউমোনিয়া হয়েছে। এর বাইরে আরও কয়েকটি সমস্যা ছিল। ২৮ মার্চ তো এমন অবস্থা হয়েছিল, আম্মা কথা বলার মতো শক্তি হারিয়ে ফেলেন। শ্বাসকষ্টে একদম কাবু হয়ে পড়েন। সেদিন আম্মার শারীরিক অবস্থাও জানতে পারছিলাম না। কারণ আম্মা কথা বলতে পারছিলেন না। আম্মার দেখাশোনার দায়িত্বে যিনি ছিলেন, তাকে শুধু বলেছি, আমি আসা পর্যন্ত আম্মার সঙ্গে থাকতে। আম্মাকে মানসিকভাবে শক্তি ও সাহস দিতে।”

476281038_1197598945074006_7242916806195393193_n

মায়ের অসুস্থতা বাড়তে থাকায় বাংলাদেশে আসার সিদ্ধান্ত নেন শাবনূর। পরের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, “এরপর টিকিট খোঁজা শুরু করি। সেদিন রাতেই অনেক কষ্টে টিকিট পেয়ে যাই। আমার বোন আর ভাইয়েরা বলছিল, এ অবস্থায় একা যেতে পারব তো? তারা কেউ সঙ্গে আসবে নাকি? আমি বললাম, একাই যাব। কোনো সমস্যা হবে না। লাগেজ নিইনি, তাই কোনো কাপড়চোপড় নিইনি। বলা যায়, এককাপড়েই উড়াল দিই। পাসপোর্ট, টিকিট ও একটা ব্যাগপ্যাক সঙ্গী করেই আমি বাসা থেকে এয়ারপোর্টের উদ্দেশে রওনা হই। প্লেনের পুরোটা সময়, ট্রানজিটের সময়— কীভাবে যে কেটেছে, তা বলে বোঝাতে পারব না। আম্মার জন্য শুধু দোয়া করছিলাম।”


বিজ্ঞাপন


শাবনূর তার অসুস্থ মাকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়াতে ফিরে গেছেন। তা জানিয়ে তিনি বলেন, “ঢাকায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম, চিকিৎসকেরা একের পর এক শুধু আম্মার টেস্ট করাতে বলছেন। একপর্যায়ে হাসপাতালে ভর্তি করাতেও বলেন। কিন্তু এ অবস্থায় আমি কোনোভাবে হাসপাতালে ভর্তি করাতে ভরসা পাচ্ছিলাম না। ”

480070400_1202151177952116_6585667765352913899_n

তিনি যোগ করেন, “আম্মার দেখাশোনা যে করছে, বারবার তাকে বলেছি, কোনো হাসপাতালে ভর্তি করানোর দরকার নেই। কষ্ট করে হলেও আমি আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে। কারণ আম্মাকে দেশে রাখব না। বাংলাদেশে গিয়েই আম্মাকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় চলে আসব। শুনেছি, আম্মারও কষ্ট হচ্ছিল। এসেই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাড়াহুড়ো করে আম্মার লাগেজ গুছিয়ে আবার উড়াল দিলাম।”

সবশেষ তিনি বলেন, “এরপরই অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে এখানে একটি হাসপাতালে ভর্তি করেছিলাম। চিকিৎসকদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় মা এখন পুরোপুরি সুস্থ।”

ইএইচ/ 

 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর