সরকার পতনের পর সাবেক তথ্যপ্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত ও সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদের নেতৃত্বে ‘আলো আসবেই’ নামক একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কিছু স্ক্রিনশট সোশ্যালে ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার ও অপ্রীতিকর মন্তব্য করেছিলেন তখনকার ক্ষমতাসীন সরকারের অনুসারী তারকারা।
বিজ্ঞাপন
সম্প্রতি বেসকারি টেলিভিশনের এক প্রতিবেদনে ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের সঙ্গে অভিনেত্রী আইরিন সুলতানার নাম জড়িয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন অভিনেত্রী। সংবাদ প্রচারের পর এক পোস্টে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
অভিনেত্রীর দাবি, ‘আটকের পরই কেন সোহানা সাবাকে দ্রুত ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল?’ শিরোনামের সেই রিপোর্টে তার নাম জড়ানো অনাবশ্যক ও বিভ্রান্তিকর। কেন তাকে ফ্যাসিষ্টের সঙ্গে জড়ানো হয়েছে?
তিনি বলেন, ‘অতি সম্প্রতি নাগরিক টিভি নামক ইউটিউব চ্যানেলে কে বা কারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একটি ভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে। আমি নাকি বিগত ফ্যাসিবাদ সরকারের কুখ্যাত ‘আলো আসবেই’হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম। তাদের পক্ষে কাজ করেছি।’
বিজ্ঞাপন
বিশ্বাস করতে চাই আলো আসবেই, লিখলেন ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের সোহানা সাবা
আন্দোলনের শুরু থেকেই তিনি ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন। এ বিষয়ে সামাজিকমাধ্যম এক পোস্টে তথ্য-প্রমাণ যোগ করে তিনি লিখেছেন ‘ আন্দোলনের সময় নানাভাবে আমি আন্দোলনের পক্ষেই সোচ্চার ছিলাম। সরকারের নির্বিচার গণহত্যার বিরুদ্ধে।’
জীবনে কখনও কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন না জানিয়ে অভিনেত্রী লিখেছেন, আমি তো কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে কখনও সম্পৃক্ত নই। আগেও ছিলামও না। অতএব যে বা যারাই আমাকে নিয়ে এমন ভ্রান্তিকর ও মিথ্যা সংবাদ প্রচার করছে। তাদের বিরুদ্ধে আমি আইনত পদক্ষেপ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
‘আলো আসবেই’ গ্রুপে শিল্পী সমিতির কয়েকজন, যা বললেন মিশা
তিনি যোগ করেন, ‘আলো আসবেই’ গ্রুপে আমার কোনো সম্পৃক্ততার সুস্পষ্ট প্রমাণ যদি উপস্থাপন করতে না পারে। তাহলে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রকাশ্যে আমার কাছে নিস্বার্থ্য ক্ষমা চাইতে হবে। দুঃখ প্রকাশ করতে হবে।
সবশেষ তিনি লিখেছেন, ‘যদি তারা ক্ষমা না চাই তাহলে ওই বেসরকারি টেলিভিশনের ইউটিউব চ্যানেল সহ সংশ্লিষ্ট সবার নামে মানহানী মামলা দায়ের করবেন।’