শুধু কণ্ঠ দিয়েই মানুষের মন জয় করেননি সংগীতশিল্পী তাসরিফ খান। একটি মানবিক হৃদয় রয়েছে তার। ফলস্বরূপ মানবতা দিয়েও মন জয় করে নিয়েছেন অনুরাগীদের। পাশাপাশি সমসাময়িক বিষয় নিয়েও কথা বলেন। এই যেমন সামাজিক মাধ্যমে গায়ক দিলেন ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কিছু পরামর্শ।
আজ শনিবার নিজের ফেসবুকে তাসরিফ লিখেছেন, ‘ঢাকায় বাসগুলোর বেপরোয়া চলাচল আর রাস্তা আটকে দিয়ে যাত্রী ওঠানামা করায় যে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয় তা সরকার বা ট্রাফিকের কথায় এভাবে কন্ট্রোল হবে বলে মনে হচ্ছে না। রং পাল্টে রুট পাল্টে কিংবা লাইসেন্স নিয়ে নিলেও এরা ধর্মঘট করে বসে। আবার কত জায়গায় সিসি টিভি লাগাবেন আর কত জায়গায়ই বা ট্রাফিক মোতায়েন করতে পারবেন? পরামর্শ হলো একটা ওয়েবসাইট ওপেন করেন এবং অপরাধের মাত্রা বুঝে কিছু টাকা জরিমানা নির্ধারণ করতে পারেন। ওয়েবসাইটে ছবি কিংবা ভিডিওসহ অভিযোগ প্রদান করার ব্যবস্থা রাখেন।’
বিজ্ঞাপন
তাশরিফ আরও লেখেন, ‘আপনারা জানেন ট্রাফিকের সামনে তো এরা বেপরোয়া ভাব দেখায় আর যারা বাধ্য হয়ে ট্রাফিক মানে তারা একটু সামনে গিয়ে বা ট্রাফিক না থাকলে সেইম কাজটাই করে। কিন্তু এই ছবি ভিডিওসহ অভিযোগ করার ব্যবস্থা থাকলে প্রতিটা জনগণ আমরা যেখানেই এরকম বেপরোয়া কাণ্ড দেখবো সেখানেই ছবি তুলে কমপ্লেইন করতে পারব।’
এরপর বলেন, ‘মূল গেইমটা হচ্ছে জরিমানা আপনি বাসের ড্রাইভার এর থেকে নেবেন না, নেবেন ওই বাস মালিক কিংবা ওই বাসের কোম্পানি থেকে। ট্রাস্ট মি এই ড্রাইভার আর হেলপাররা পুলিশ কিংবা সরকার না মানলেও মালিকের কথা মানতে বাধ্য, না হয় ওরা চাকরি হারাবে। এভাবে প্রতিদিন যখন নির্দিষ্ট বাসের কোম্পানি দেখবে যে তার ড্রাইভারের ভুলের জন্য কোম্পানির ব্যবসার চেয়ে জরিমানা বেশি গুনতে হচ্ছে তখন সে তার চালকদের চরম টাইট দিতে বাধ্য। চলমান সরকার এই প্রসেস শুরু করলে ওরা যেমন সরাসরি আন্দোলন করতে পারবে না কারণ ওদের ভুলের জন্যই ওদের খেসারত দিতে হবে, ঠিক তেমনি যেখানে ট্রাফিকের অবর্তমানে আমরা জনগণও ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ভুলগুলোর অভিযোগ দিয়ে সরকারকে সাহায্য করতে পারব।’
এরপর প্রত্যাশা নিয়ে লেখেন, ‘দেশ কবে বিদেশ হবে জানি না, কবে কোন পদক্ষেপ নিয়ে ট্রাফিক সমস্যার সমাধান হবে জানি না তবে এই পন্থা অবলম্বন করলে কিছুটা হলেও অনিয়ম আর জনগণের দুর্ভোগ কমবে বলে আমি বিশ্বাস করি। শেষে বলবো শুধু বাসের জন্য নয়, সমস্ত ব্যক্তিগত, সরকারি এবং বেসরকারি সব রকমের পরিবহনের জন্য এই আইডিয়া কার্যকর করতে পারলে এর সুফল আমরা শিগগির দেখতে পাব ইনশাআল্লাহ।’