ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘জংলি’ ছবিটি মন ভরাচ্ছে দর্শকদের। মুগ্ধতা প্রকাশের পাশাপাশি প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন তারা। এই প্রশংসার বড় একটি অংশ জমা হচ্ছে ‘পাখি’র ডানায়। চরিত্রটিতে অভিনয় করে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে শিশুশিল্পী নৈঋতা হাসিন রৌদ্রময়ী। সম্প্রতি এই একরত্তির সঙ্গে আলাপ জমেছিল ঢাকা মেইলের।
‘জংলি’ সিনেমায় কীভাবে যুক্ত হলে?
বিজ্ঞাপন
অডিশনের মাধ্যমে। প্রথম অডিশনে বাবা নিয়ে গিয়েছিল। দ্বিতীয় অডিশনে বাবা-মা দুজনেই ছিল। এরপর আমাকে গ্রুমিংয়ের জন্য একজন আন্টি ছিলেন। ৭-৮ দিন বাসায় গিয়ে অভিনয়ের অনেক কিছু শিখিয়েছেন। মা তো বিশ্বাস-ই করেনি আমি ‘জংলি’র জন্য নির্বাচিত হব। সেকারণে এত গুরুত্বও দেয়নি।
‘জংলি’তে অভিনয় করে কেমন লেগেছে?
আমি তো বুঝিইনি যে অভিনয় করছি। রাহিম চাচ্চু (এম. রাহিম) যা করতে বলেছেন আমি শুধু সেটুকুই করেছি।
বিজ্ঞাপন
তুমি কি জানো সিনেমা দেখে সবাই তোমার অভিনয়ের প্রশংসা করছে? বলছে, তোমাকে পুরস্কার দেওয়া উচিত।
নিউজে দেখছি। মা-বাবা ফেসবুকের রিভিউ শেয়ার করেছে আমার সঙ্গে। অভিনয়ের জন্যও পুরস্কার দেয়! আমি তো জানতাম-ই না।
শুটিংয়ের সময় কে বেশি আদর করেছে?
পুরো শুটিংয়ের সময় সবার কোলে ছিলাম আমি। কারও ঘাড়েও চড়েছি। সবাই অনেক আদর করত। এটা খাও, সেটা খাও বলে জোর করত।
সিয়াম আহমেদ, শবনম বুবলী, প্রার্থনা ফারদিন দীঘিকে কী বলে ডাকতে?
সিয়াম (সিয়াম আহমেদ) আমার প্রিয় নায়ক। তাকে কিছু বলিন। বাকিদের আন্টি-চাচ্চু-মামা বলতাম।
সিয়াম তো দাড়ি-গোঁফে ঢাকা ছিলেন। ভয় করেনি?
না, ভয় পাইনি। কারণ ইজি হওয়ার জন্য আমাদের ৩-৪ দিনের রিহার্সাল ছিল। তাছাড়া সবাই আমাকে সাহায্য করেছে।
কে বেশি সাহায্য করেছে?
আমার মা আর মনির মামা। যাকে ইউনিট থেকে দেওয়া হয়েছিল আমার দেখাশুনা করতে। যতক্ষণ শুটিং থাকত আমার জন্য কি করবে, কি খাওয়াবে এসব নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন মনির মামা। মাকে লুকিয়ে আইসক্রিম, রাস্তার হাবিজাবিও কিনে দিতেন! যখন যা বলতাম সব আবদার পূরণ করতেন।
অভিনয় করতে ভয় লেগেছে নাকি মজা পেয়েছ?
শুটিংয়ের সময় সিয়াম এক দিন ধমক দিয়েছিল। তখন রাগ হয়েছিল। বলে দিয়েছিলাম, আর শুটিং করব না। পরে সবাই আদর করে বুঝিয়ে বলল, সিয়াম না, সিনেমার চরিত্র ধমক দিয়েছে। আর শুটিংয়ের সময় পড়ে গিয়ে কয়েকবার ব্যথাও পেয়েছি।
সিনেমাটা তোমার দেখতে ইচ্ছে করছে না?
ডাবিংয়ের সময় দেখেছি। নিজের অভিনয় দেখে আমার লজ্জা লাগে। মা-ও বকা দেয়। এখানে সেখানে ভুল ধরিয়ে বলে, আরও ভালো করতে পারতাম।
বড় হয়ে কি হতে চাও?
অনেক কিছু হতে চাই। এখন লেখক হতে ইচ্ছা করছে। কয়েকদিন আগে বিজ্ঞানী হতে চেয়েছিলাম। তবে মায়ের শখ আমি যেন অভিনয় করি। সবসময় বলে আমার অভিনয় ভালো।
তোমার অভিনয় দেখে তোমার বাবা-মা আর কি বলেছেন?
বাবা তো গল্পই জানে না। শুটিংয়ের সময় তো ছিল না। মা সবটুকু জানে। তবে বাবা সবসময় ভালো বলে। কিন্তু মা শুধু বেশি বেশি সমালোচনা করে, প্রশংসা কম করে।
আরআর