ঈদ উপলক্ষে আয়োজিত ইত্যাদির গানে এবার কণ্ঠ দিয়েছেন সিয়াম আহমেদ ও জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি। কবির বকুলের কথায়, ইমরান মাহমুদুলের সুরে এবারই প্রথম বাঁধা পড়লেন জনপ্রিয় এই অভিনয়শিল্পী দুজন। সেসব অভিজ্ঞতা ঢাকা মেইলের সঙ্গে ভাগ করেছেন হিমি।
ইত্যাদির গানের সঙ্গে কীভাবে যুক্ত হলেন?
বিজ্ঞাপন
এটা খুব অপ্রত্যাশিত ছিল। আমি ছোট বেলায় গান গাইতাম। টকশোয়েও মাঝে সাঝে অনুরোধে দুই-চার লাইন গাওয়া হয়। এরকম একটি অনুষ্ঠানে গাইতে দেখে গীতিকার কবির বকুল ভাই বলেছিলেন, তুমি তো গান করতে পারো। উত্তরে বলেছিলাম, নাটকের শুটিং করেই তো সময় পাই না। ভাই তখন বললেন, বিষয়টা মাথায় রেখ। আমি একটা পরিকল্পনা করছি। তারপর হানিফ সংকেত ভাইয়ের সঙ্গে পরিকল্পনা করে সব কিছু ঠিক করেন। সবাই আশ্চর্য হয়েছেন। গানটির কম্পোজার ইমরান মাহমুদুল ভাইয়াও। উনি বলছিলেন, তুমি যে গাইতে পারো আমি জানি-ই না।
গানটিতে আরও কণ্ঠ দিয়েছেন সিয়াম আহমেদ। তিনি সম্ভবত এবারই প্রথম কণ্ঠ দিলেন। তার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা জানতে চাচ্ছি…
সিয়াম ভাইয়ের সঙ্গে পরিচয় ছিল। অনেক আগে আমার উপস্থাপনায় একটি অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে এসেছিলেন। ইমরান ভাইয়ের স্টুডিওতে একসঙ্গে রিহার্সাল করেছি। সিয়াম ভাই আগে কখনও গান গান করেননি। সেকারণে হয়তো একটু সময় লেগেছে প্রথম দিকে। সেই তুলনায় ভাইয়া সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন এবং ওনার গায়কী ভালো হয়েছে। তবে আমি ছোটবেলায় গান করতাম, ছায়ানটে গান শিখেছি। সেকারণে বেশিক্ষণ লাগেনি।
বিজ্ঞাপন
এর আগে তাহসান খান ও তাসনিয়া ফারিণের গাওয়া ইত্যাদির গানটি তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে। আপনার ও সিয়ামের এই গানটি নিয়ে প্রত্যাশা কেমন?
জনপ্রিয়তা বা ভাইরাল হবে কিনা ওই চিন্তা করে গানটি করা হয়নি। গান আমার প্যাশন। প্রথমদিকে পরিকল্পনা ছিল সিঙ্গার হব। ওই জায়গা থেকে একটা সফটকর্নার কাজ করে। এর আগে আমার অভিনীত একটি নাটকে গান করেছিলাম। ডুয়েট ছিল। সেটিও ভালো লাগা থেকে করা। এটিও তাই। আশা করি মানুষের ভালো লাগবে। ট্রল হতে চাই না। চাচ্ছি মানুষ পছন্দ করুক গানটি। আমার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। জনপ্রিয় হবে কিংবা আগের গানের মতো ভাইরাল হবে এরকম কোন চিন্তা থেকে করা হয়নি।
ইত্যাদির সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে অনেকে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। আপনার অনুভূতি কেমন?
হানিফ সংকেত স্যারের সঙ্গে এর আগে একটা কাজের ব্যাপারে কথা হয়েছিল। তবে করা হয়নি। কিন্তু ইত্যাদির প্রতি সবসময় সফট কর্নার আছে। ছোটবেলা থেকে অনুষ্ঠানটি দেখে বড় হয়েছি। ঈদের ইত্যাদিটা খুবই স্পেশাল থাকত। পরিবার নিয়ে দেখার মতো ব্যাপার থাকত। তখন মনে হতো ইত্যাদির কোনো একটা খণ্ড নাটকে থাকতে পারলে ভালো লাগত। সেই জায়গা থেকে গান আমার খুব পছন্দের, ইত্যাদিও একটা নস্টালজিক এবং প্রথম তাদের মঞ্চে আমি পারফর্ম করেছি। সব মিলিয়ে খুবই ভালো অভিজ্ঞতা।
গানে নিয়মিত হবেন?
আমার যারা পছন্দের কণ্ঠশিল্পী তারাও অনেক সিনেমায় কাজ করেন। যেমন টেইলর সুইফট। ওই জায়গা থেকে এই দুই কাজ পাশাপাশি করার ইচ্ছা সবসময় ছিল। তবে গানে যে সময় দেওয়া প্রয়োজন ওই সময়টা এখন পাওয়া যায় না। তবে ভবিষ্যতে এরকম সুযোগ এলে তাহলে করাই যায়।
ব্যস্ততা নিয়ে কিছু বলুন…
এবার ব্যস্ততা বেশি। ভোগান্তিও আছে। কাজের চাপে কয়দিন পর পর অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি। শুধু আমি না। নিলয় ভাইও খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। একটি কাজে তানিয়া বৃষ্টি ছিলেন। তিনিও অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। এরকম অনেকের সঙ্গে হচ্ছে। কেননা এবারের চাপটা বেশি। এর কারণ আছে। আগে যে তিন দিনে করতাম সেগুলো এখন এক-দেড় দিনে করতে হচ্ছে। এরমধ্যে ভালো কিছু কাজ আসছে। যেমন নিহারকলি, জাহিদুল ইসলাম রিপনের স্বপ্নচুরি, মহিন খানের একান্নবর্তী। নিহারকলি কাজটি আমার খুব পছন্দের। নাটকটিতে আমি হাতির সঙ্গে শুটিং করেছি। স্বপ্নচুরি নাটকে অভিনয় করেছে বানরের সঙ্গে। বানরটি ৪০-৪৫ বছরের হবে। যারা বানরের খেলা দেখায় তাদের জীবনের টানাপোড়নের গল্প উঠে এসেছে নাটকটিতে।
আরআর