মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

এর আগে আমাকে ঠিকমতো উপস্থাপন করা হয়নি: দীঘি

রাফিউজ্জামান রাফি
প্রকাশিত: ১০ জুন ২০২২, ০১:১১ পিএম

শেয়ার করুন:

এর আগে আমাকে ঠিকমতো উপস্থাপন করা হয়নি: দীঘি
শিশুশিল্পী হিসেবে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন প্রার্থনা ফারদিন দিঘী। তার অভিনয়ে অভিভূত হননি এমন মানুষ কমই আছেন। স্বীকৃতিস্বরূপ ওই একরত্তি বয়সেই মিলেছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। তাকে নিয়ে তাই সবার আশার কমতি ছিল না। কিন্তু নায়িকা হিসেবে ক্যারিয়ারের প্রথম চলচ্চিত্রের মাধ্যমেই অনুরাগীদের সে গুড়ে দিয়েছেন বালি। এরপর আর আলোচনার টেবিলে সগৌরবে ছিলেন না দীঘি। তবে সম্প্রতি ওটিটি মাধ্যম তাকে কিছুটা হলেও ফিরিয়ে দিয়েছে হারানো সেই জনপ্রিয়তা। সাফল্য, ব্যর্থতা ও ফিরে আসার সেই গল্প জানিয়েছেন ঢাকা মেইলের কাছে।

‘শেষ চিঠি’ বেশ সাড়া ফেলেছে। আপনার অভিনয়ের প্রশংসা করছেন সবাই। কেমন লাগছে?

প্রশংসা শুনতে কার না ভালো লাগে! আমার ভালো লাগছে। পরিচিতদের থেকে প্রশংসা পাচ্ছি। অনেকে ফোন করে জানাচ্ছেন, ভালো হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ভালো রিভিউ পাচ্ছি। সবচেয়ে বড় কথা হলো, এটা তো আমার আত্মপ্রকাশ ছিল। তো এ সময় এমন প্রশংসা সামনে এগিয়ে যেতে বেশ সহায়তা করবে। 

অনেকের মতে এই ওয়েব ফিল্মের মাধ্যমে আপনি পুনরায় ফিরলেন। তারা ঠিক বলছেন?

ফিরে আসা ঠিক বলব না। আমার মনে হয়েছে, এর আগে আমাকে ঠিকমতো উপস্থাপন করা হয়নি, ব্যবহার করা হয়নি। তবে ‘শেষ চিঠি’র নির্মাতা সুমন ধর সেটা করেছেন। কারণ, আমার কাজ অভিনয় করা। আমি সেটা করেছি। কিন্তু একজন অভিনয়শিল্পীর নিকট থেকে সেরা অভিনয়টা বের করে আনা নির্মাতার দায়িত্ব। আমার থেকে সেরাটা বের করে নিয়েছেন সুমন। এখানে সব কৃতিত্ব তার। নিজেকে কৃতিত্বের ভাগ দেব না। আমার মনে হয়েছে আমি একটা চাবিওয়ালা পুতুল। পরিচালক আমাকে পেছন থেকে চাবি দিয়ে সব করিয়েছেন। সেকারণেই কাজটা হয়ত প্রশংসা পাচ্ছে। তা ছাড়া টিমের সবাই সহযোগিতা করেছেন। 

Prarthana Fardin Dighi


বিজ্ঞাপন


তাহলে এখন চিন্তা-ভাবনা কি ওটিটিকেন্দ্রিক?

আমি এমনটা ভাবছি না। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, দর্শকের সঙ্গে যুক্ত থাকা। সেটাই থাকতে চাই। আর এজন্য প্রয়োজন ভালো গল্প। চলচ্চিত্রের গল্প ভালো লাগলে সেখানে অভিনয় করব। আবার ওটিটিতে ভালো গল্প পেলে সেখানেও দেখা যাবে আমাকে। ‘শেষ চিঠি’ দিয়ে সাড়া পেয়েছি বলে যে শুধু ওটিটি নিয়ে ভাবব তেমনটা না। আমি ভাবছি ভালো গল্প ও স্ক্রিপ্ট নিয়ে। কেননা, দর্শকের সাড়া পেতে এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

আপনি শিশুশিল্পী হিসেবে সফল ছিলেন। বড়বেলায় এসেও অভিনয় করছেন। এই দুই সময়ের পথচলায় কতটা তফাৎ মনে হচ্ছে?

অনেক পার্থক্য রয়েছে। ছোটবেলার পথচলাটা সহজ ছিল। এখন বেশ কঠিন। তা ছাড়া সময়ও তো বদলে গেছে। বিভিন্ন মানসিকতার দর্শক রয়েছেন। তাদের চাহিদা ও দৃষ্টিভঙ্গিও আলাদা। ছোটবেলায় তো না বুঝে অনেককিছু করে ফেলতাম। এখন সবকিছু বুঝে শুনে করতে হয়। তাই অভিনয় ছাড়াও অনেক কিছু মাথায় রাখতে হয়। শিশুশিল্পী থাকার সময় যেটা না থাকলেও চলত। 

Prarthana Fardin Dighi

তার মানে বলতে চাচ্ছেন, আপনার প্রথম চলচ্চিত্র ‘তুমি আছ তুমি নেই’ না বোঝার ফসল ছিল?

ওটাকে আমার একটা শিক্ষা হিসেবে ধরে নেন না! এই শিক্ষাটা আমাকে একদিন না একদিন পেতে হত। সেটা পাঁচ বছর পর হলেও। ভাগ্য ভালো আগেই সেটা পেয়ে গেছি। এতে আমার অভিজ্ঞতাও হয়েছে। ফলে ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতিতে পড়লে এই শিক্ষাটা কাজে লাগাতে পারব। নেক্সট টাইম আর এই ভুল করব না।

পূজা ও আপনি সমসাময়িক। কিন্তু অনেকের মতে, আপনার থেকে পূজা অনেক এগিয়ে গেছেন। তাকে প্রতিযোগী ভাবেন?

আমি পূজার সঙ্গে কোনো ধরনের প্রতিযোগিতায় যাব না। এর কারণ হচ্ছে সে আমার চেয়ে তিন বছর আগে নায়িকার খাতায় নাম লিখিয়েছে। অতএব নায়িকা হিসেবে সে আমার তুলনায় এই জগতটাকে অনেক বেশি জানে। সেকারণে আমার চেয়ে অভিজ্ঞতাও তার বেশি। তবে কাজের ক্ষেত্রে ওর জায়গায় ও ভালো আছে আর আমার জায়গায় আমি ভালো আছি। দুজনে যার যার মতো এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের দুজনের কাজ এক, মাধ্যম এক তবে কৌশলটা আলাদা।

Prarthana Fardin Dighi

টিকটকে আপনার সরব উপস্থিতি দেখা যায়। তবে অনেকে এটা ভালোভাবে নেন না। আপনার মন্তব্য কী এই বিষয়ে?

এটা তো একটা স্বাধীন জায়গা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমি আমার মতো করে বিচরণ করি। অন্যান্যরা যেমন করেন। তা ছাড়া সবাই তো এখানে আছেন। আমাকে আলাদা করছেন কেন? অন্য সবার সঙ্গে রাখুন না!

আরআর/আরএসও

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর