রোববার, ১৬ মার্চ, ২০২৫, ঢাকা

পরিবারের সঙ্গে ইফতারটা খুব মিস করি: তটিনী 

রাফিউজ্জামান রাফি
প্রকাশিত: ১২ মার্চ ২০২৫, ০৩:১৬ পিএম

শেয়ার করুন:

পরিবারের সঙ্গে ইফতারটা খুব মিস করি: তটিনী 
ফেলে আসা শৈশবের কিছু গল্প থাকে রমজানের ঘ্রাণমাখা। ঘুম ভেঙে সেহেরি খাওয়া দিয়ে শুরু হতো দিন। ক্লান্ত শরীর টেনে ইফতারের টেবিলে বসার মধ্য দিয়ে হতো শেষ। এরমধ্যে এমন কিছু ঘটনা ঘটত যা মনে রাখার মতো। বছর ঘুরে পবিত্র এই মাসটি ফিরে আসার সময় সঙ্গে করে নিয়ে আসে সেসব। 

ঢাকা মেইলের কাছে শৈশবের রোজা নিয়ে স্মৃতিচারণ করলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিম সাইয়ারা তটিনী। কেমন ছিল শৈশবের রমজান— জানতে চাইলে বলেন, ‘আমরা যৌথ পরিবারে ছিলাম। সবাই একসাথে ইফতার করতাম। এখন একসাথে করা হয় না। বড়বেলার সঙ্গে পার্থক্য এটাই।’


বিজ্ঞাপন


472622656_962419255949380_1024331608838603146_n

শিশু-কিশোরের কাছে গোটা মাস রোজা রাখাটা বেশ কৃতিত্বের। বড়দের বাহবাও পাওয়া যায়। তাই ওই বয়সে অনেকেই আপ্রাণ চেষ্টা করে সবকটা রোজা রাখার। তটিনীও ব্যতিক্রম ছিলেন না। তার কথায়, ‘রোজা থাকার জন্য পরিবার থেকে সব সময় অ্যাপ্রিশিয়েট করত। তবে ছোটবেলায় সাহারিতে উঠতে একটু কষ্ট হতো। কিন্তু চেষ্টা থাকত ৩০ টা রোজা রাখার।’ 

বন্ধুদের সঙ্গে রোজা নিয়ে প্রতিযোগিতা হতো কি না— জানতে চাইলে বলেন, ‘বন্ধু বলতে কাজিনরা ছিল। তাদের সঙ্গে প্রতিযগিতা চলত। কে কয়টা রোজা রাখতে পেরেছে। এসব নিয়ে প্রতিযোগিতা হতো। তবে আমার লক্ষ্য থাকত একটা রোজাও না ভাঙা।’

473272211_966487245542581_8348641737325057508_n


বিজ্ঞাপন


রোজাকালীন ভুলবশত পানি পেটে গেল কি না— এ নিয়ে ভীষণ চিন্তিত থাকে কচিরা। অনেকে আবার লুকিয়ে খাবার খায়। এর ব্যতিক্রম ছিলেন তটিনী। তার ভাষ্য, ‘এরকম কখনও করিনি। রো্জা না রাখতে পারলে ভেঙে ফেলতাম। তবে লুকিয়ে কিছু খাওয়া হয়নি।’

প্রথম কবে রোজা রেখেছেন মনে নেই তটিনীর। জানালেন খুব ছোট থেকেই রাখেন। স্মৃতির জানলায় ভিড় করে ছোটবেলার ইফতারের আয়োজন। তিনি বলেন, ‘অনেক ছোট থেকে রোজা রাখি। বরিশাল গার্লস স্কুলে থাকাকালীন স্কুল থেকে ইফতারের আয়োজন করা হতো। তখন এগুলো নিয়ে খুব উত্তেজিত থাকতাম।’

418949503_738815828309725_949647874493368411_n

এ তারকা বলেন, ‘কয়েক বছর আগেও আমার রোজা ছোটবেলার মতো ছিল। তবে এখন কিছুটা ভিন্ন। লাইফস্টাইল ও কাজের জন্য। ছোটবেলায় রোজাকে ঘিরে যে উৎসব বিরাজ করত এখন তা নেই। আজ ৯ রোজা (১০ মার্চ)। এরমধ্যে একদিন বাসায় ইফতার করেছি আর আজ করব।  এতদিন কাজের জন্য নরসিংদী ছিলাম।’

ব্যস্ততা অবসর দেয় না তটিনীকে। ফলে কালেভাদ্রে ছাড়া পরিবারের সঙ্গে ইফতার সম্ভব হয় না। তার কথায়, ‘এখন পরিবারকে সময় কম দেওয়া হয়। তবে শুটিং সেটে অনেকের সঙ্গে ইফতার করা হয়। এটা খুব উপভোগ করি। আমার কাছে মনে হয় এতোগুলো মানুষের সঙ্গে ইফতার করতে পারছি এটা অনেক বড় পাওয়া। তবে পরিবারের সঙ্গে ইফতারটা খুব মিস করি।’ 

428053519_757100859814555_7447544478270595148_n

সবশেষে দিলেন ব্যস্ততার ফিরিস্তি। জানালেন, ঈদে বেশ কিছু কাজ আসবে। অনেক কাজ করাও আছে। সবশেষ মোস্তফা কামাল রাজের পরিচালনায় নরসিংদীতে একটা কাজ করে এসেছেন। এছাড়া সব মিলিয়ে এক ডজনের বেশি নাটকে কাজ করা হয়েছে তার। 

আরআর 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর