ঈদগাহে একসঙ্গে সালাত আদায়ের মধ্যে যেন ঈদের মূল আনন্দ। নামাজ শেষে কোলাকুলি কুশলাদি বিনিময়ে বাড়ে ভাতৃত্ববোধ। আজকাল ঈদগাহে নামাজের রীতি বিলুপ্তির পথে। এদিন মসজিদেই দুই রাকাত ওয়াজিব সালাত আদায় করতে দেখা যায় মুসল্লিরা। তবে জনপ্রিয় অভিনেতা তামিম মৃধার নিজ গ্রামে ফিরিয়ে আনলেন ঈদগাহে নামাজ পড়ার সংস্কৃতি।
বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে তামিম নিজেই জানিয়েছেন। গত ৮ মার্চ নিজের ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, আমাদের কাজ করতে হবে যুবকদের শক্তিতে ও বুজুর্গের পরামর্শে।
বিজ্ঞাপন
এরপর লেখেন, আলহামদুলিল্লাহ! গতকাল (৭ মার্চ) আমার গ্রাম কৃষ্ণনগরের সাত মসজিদের প্রতিনিধি নিয়ে জুমার পর আলোচনা ডাকা হয়। ওখানে সবাই একমত হয়েছেন ঈদের নামাজ আলাদা ৭ মসজিদে না পড়ে একসাথে ঈদগাহের মাঠে পড়ার জন্য।

এসময় ঈদগাহের স্থান উল্লেখ করে তামিম লিখেছেন, স্থান: কৃষ্ণনগর প্রাইমারি স্কুলের সামনে। সকলের সমর্থন ও সহযোগিতা কাম্য।
এমন উদ্যোগের পেছনের কথা জানিয়ে ঢাকা মেইলকে তামিম বলেন, আমার বাড়ি ধামরাইয়ের কৃষ্ণনগর গ্রামে। বাবার সঙ্গে কথা বলছিলাম। তিনি জানালেন রমজানের প্রথম জুমায় বাড়ি যাবেন। আমাকেও যেতে বললেন। বাবা অনেক বছর ধরে গ্রামের বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। সেজন্য তার প্রতি গ্রামবাসীর ভালোবাসা আছে। যাইহোক আমরা জুমা পড়ে সাত মসজিদের প্রতিনিধি, কমিটি ও ইমাম সাহেবদের নিয়ে বসি। এ সময় যুব সমাজের পক্ষ থেকে আমি ঈদের নামাজ মসজিদে আলাদা না পড়ে সবাই মিলে একসঙ্গে ঈদগাহে পড়ার প্রস্তাবনাটি রাখি।
বিজ্ঞাপন
তামিম বলেন, জীবিকার তাগিদে কারোরই গ্রামে থাকা হয় না। যে যার কর্মস্থলে থাকেন। বছরে একবার যদি ঈদের নামাজ একসঙ্গে আদায় করি তাহলে সবার সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ হয় ভাতৃত্ববোধ বাড়ে। আমাদের চারদিকে আজ ভাগাভাগি চলছে। কে কীভাবে মারামারি করতে পারে, ভাগাভাগি করতে পারে এসব নিয়ে ব্যস্ত সবাই। ওই জায়গা থেকে এ সময় একত্রিত হওয়া মুসলিম উম্মাহর জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। একসঙ্গে থাকলে আমরা সব প্রতিবন্ধকতা প্রতিরোধ করতে পারব। ওই জায়গা থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া। এটা ঈদের সৌন্দর্য। আমি চাই, আমাদের এই উদ্যোগ অন্যান্য গ্রামেও যেন ছড়িয়ে পড়ে।

এ অভিনেতা ও ইউটিউবারের ভাষ্য, রাসূলুল্লাহ (সা.) অধিকাংশ ঈদের নামাজ ঈদগাহে আদায় করেছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যতীত। পাশাপাশি তিনি নারীদের ঈদের সালাত আদায়ের জন্য উদ্বুদ্ধ করেছেন।
একসময় নাটকে নিয়মিত দেখা গেলেও আজকাল তামিম মেনে চলছেন ধর্মীয় রীতিনীতি। ইউটিউবে ইসলামী বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পডকাস্ট করে থাকেন তিনি। ওই পডকাস্ট দেখারও আহ্বান জানান নেটিজেনদের।

