চরিত্রের মাধ্যমে গল্প বলতে চান এরকম অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম খায়রুল বাসার। তার অভিনীত কাজ দর্শককে ভাবায়। বিনোদনের পাশাপাশি বোধের সৃষ্টি করে। সম্প্রতি জনপ্রিয় এ অভিনেতার সঙ্গে আলাপ জমেছিল ঢাকা মেইলের।
বর্তমান ব্যস্ততা…
বিজ্ঞাপন
এই মুহূর্তে ব্যস্ততা ঈদের প্রজেক্ট নিয়ে। তাছাড়া একেবারে সম্প্রতি করে এলাম মন খারাপের ঘর নামে একটি কাজ। এছাড়া গোল্ড ফিস আর গাপ্পির গল্প নামে আরেকটি কাজ করেছি। পাশাপাশি ভ্যালেন্টাইন ডে তে বেশ কিছু কাজ এসেছে। বসন্তবৌরি, যদি তোমারে না পাই, তোমার সাথেই শুরু, সত্য মিথ্যার গল্প— ভালোবাসা দিবসের এই চারটি কাজই আমার ভালো লাগার কাজ।
ভিউ পেতে ভাড়ামিপূর্ণ, মানহীন কাজের দিকে ঝুঁকছেন অনেকে। মানসম্মত গল্পনির্ভর কাজগুলোও কিন্তু দর্শকের প্রশংসা পাচ্ছে। তারপরও কেন মানহীন গল্পের আধিপত্য?
যখন ওই ধরনের কাজে ভিউ বেশি হচ্ছে তখন ধারণা তৈরি হচ্ছে– ভিউ বেশি চাইলে এরকম কাজ করতে হবে। যেটাকে আমরা ট্রেন্ডি কাজ বলে থাকি। ধরুন ট্রেন্ড দিয়ে একটি কাজের ভিউ হলো এক কোটি। বাকি আরও মানুষ আছেন। তারা কেন দেখছেন না? কারণ তারা অন্য রুচির। তারা হয়তো গল্প পছন্দ করেন। আমরা আজ রবিবারসহ আগের নাটকগুলোর প্রশংসা করি। সেগুলো খুব মানসম্মত কাজ ছিল। তখন বিভিন্ন ক্রাইসিস নিয়ে নাটক হতো। অবক্ষয় তুলে ধরার চেষ্টা করা হতো। নাটকের গল্প তো এরকমই হওয়ার কথা। সেই ক্রাইসিসগুলো যখন বিস্তারিত তুলে ধরা হতো তখন গল্প, সংলাপ থেকে শুরু করে সবকিছুতে মুগ্ধ হতাম। এখন ট্রেন্ডি কাজগুলোতে ডাবল মিনিংয়ের কথা কিংবা এক ধরনের সুড়সুড়ি থাকছে যাতে মানুষ সহজেই হাসে। এই সহজ হাসার ব্যাপারটা আমার খুব একটা ভালো লাগে না। আমার কাছে মনে হয় কোনো একটা সিচ্যুয়েশন দেখে হাসছি সেটি আলাদা কথা। কিংবা খুব কঠিন মুহূর্তে থাকা একজন মানুষ মজার স্বপ্ন দেখছে সেটার মধ্যে এক ধরনের আনন্দ, বেদনা কাজ করে। ওই বিষয়টা আমাকে ছুঁয়ে যায়। আমি মনে করি গল্পটা গল্প বলার জন্যই করা হবে। যথাযথ গল্প বললে সবকিছুতে যে হাসতেই হবে এমন না। গল্প দেখে ভালো লাগাটা জরুরি।
বিজ্ঞাপন
কাজের ক্ষেত্রে আপনার নিজস্ব ভাবনা কি?
অনেকে আমাকে বলেন আপনার আগের এই কাজগুলো কত সুন্দর ছিল। আমি তাদের জন্যই কাজ করি। সেইসঙ্গে নিজের জন্য কাজ। যে কাজটা করে ভালো লাগবে সেটা করব। তবে এখন বলব, মন্দের ভালো কাজ করছি। যতটুকু সুযোগ হচ্ছে সে অনুযায়ী। কিন্তু আমি মাথায় রাখি কাজটি যেন করার মতো হয়। কিছু কাজ খুব আগ্রহ নিয়ে করি। কিছু নিজের ভালো লাগা থেকে করি। তবে সব কাজেই চেষ্টা রাখি। আর কিছু কাজের ক্ষেত্রে মনে হয় এই বিষয়গুলোর কারণে গল্পটা করা উচিত। সেটা হোক সামাজিক ক্রাইসিস, পারিবারিক বিষয় কিংবা দুটি মানুষের সম্পর্কের কোনো এক বিশেষ দিক। এ ধরনের নাটকগুলো করতে চাই বা করে থাকি। এখন নানারকম নাটক হচ্ছে। আয়োজন বেশি থাকলে সেগুলোকে বিশেষ বলছি। এতে এক ধরনের ক্রাইসিস তৈরি করবে বলে আমার ধারনা। বড় আয়োজন দেখে দেখে অভ্যস্ত হয়ে গেলে ধীরগতির গল্প দেখতে ইচ্ছে করবে না। আমাদের যাপিত জীবনে অনেক তাড়া। আমরা এখন ছোট ছোট রিলসে অভ্যস্ত। আমরা শো অফে বিশ্বাসী। ওই জায়গাগুলো আমাদের টানেও বেশি। আমরা বেসিকে নেই। কোনো কাজ অন্তর দিয়ে দেখার চিন্তা আমাদের নেই। তবে আমি গল্পটাই বলতে চাই। সেভাবেই কাজ করছি। সেটার দর্শক তৈরি হচ্ছে। ঠিকঠাক গল্প বলে যাওয়ার চেষ্টা করব এবং যে নির্মাতা এরকম কাজ করেব তাদের সঙ্গে আমি আছি এবং থাকব।
আজকাল অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় গল্পের চেয়ে আয়োজন গুরুত্ব পাচ্ছে। এর প্রভাব কেমন হতে পারে বলে মনে করছেন?
নাটক সমাজের কথা বলবে। বিভিন্ন পেশার মানুষ যে জীবন আচরণের ভেতর দিয়ে যায় সেই বিষয়গুলো সামনে নিয়ে আসবে। ক্রাইসিস, পরিবার, বিরহ, প্রেম-ভালবাসা তুলে ধরবে। থিয়েটার করার সময় আমরা বলতাম নাটক সামাজের দর্পণ। সংবাদপত্র যেমন সমাজের দর্পণ। সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে। একটা নাটক দেখলে বোঝা যায় সেটা ৭০, ৮০ নাকি ৯০ দশকের। আমরা ওই সময়ের মানুষের পছন্দ, ব্যক্তিত্ব আন্দাজ করতে পারি। জানতে পারি তাদের রক্ষণশীলতা বা প্রগতিশীলতার ব্যাপারটা কেমন ছিল। কিন্তু এখন যে ট্রেন্ডি নাটক চলছে সেগুলো কোন সমাজের কিংবা কোন ব্যক্তিত্বের সেটা বলা আসলে মুশকিল। ঠিক বোঝা যায় না সেগুলো কোন সমাজ বা পরিবারকে প্রতিনিধিত্ব করে। যদিও ভিউ দিয়ে হিসাব করলে বড় আয়োজনের কাজ ইতিবাচক। বড় বাজেটের কাজ যদি আমাদের অনেক সুন্দর কিছুর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়, সুন্দর বোধ তৈরি করে তবে সেটা সুন্দর। কিন্তু যদি আমার ভিলেন, গুন্ডা হতে ইচ্ছে করে সেটা অবশ্যই পজিটিভ না। আরেকটি কথা– ছোট গল্প কখনও উপন্যাস হবে না। কিন্তু নাটককে আমরা ছোট গল্প রাখছি না, উপন্যাসও করছি না। নাটক-সিনেমাকে এমন জায়গায় নিয়ে এসেছি যার সংজ্ঞা দেওয়া আসলে মুশকিল। এরকম অনেক কাজই চোখে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে ভাবা উচিত। এটি এক ধরনের দর্শককে ইউটিউব বিমুখ করে তুলছে। আর যে দর্শকরা দেখছেন তারা আমাদের ইন্ডাস্ট্রিকে কতটা মূল্যায়ন করছেন কিংবা আমরা কতটা মূল্যায়িত হচ্ছি সেটা ভাবার বিষয়। তবে যে নাটক অনেক বেশি আয়োজনে করে ভ্যালু ক্রিয়েট হয় সেটাকে সমর্থন করি।
নায়ক ও চরিত্রাভিনেতা প্রসঙ্গে আপনার ভাবনা কী?
আমি চরিত্রাভিনেতা কিংবা নায়ক বিষয়টাকে আলাদা করার চেষ্টা করি না। নায়ক ব্যাপারটাকে কখনও সমর্থন করি না। নায়ক শব্দটায় আমার এলার্জি আছে। যিনি দশটা মানুষের জীবন বাঁচাবেন, সমাজের খুব ভালো হয় এমন কিছু করবেন— তাদের আমি নায়ক বলি। একজন আর্মি পার্সনকে, যুদ্ধ করে আসা একজন মানুষকে আমি নায়ক বলতে পারি। আমি মনে করি আমাদের অভিনেতা বলাই ভালো। তারপরও হিরো বলতে একটি শব্দ আছে সেটার জন্য যে ধরনের কাজ হওয়া দরকার আমি মনে করি এখানে সে ধরনের কাজ খুব কম হয়। সেদিক থেকে নায়ক হিসেবে বিবেচনা করলে আমার মনে হয় শাকিব খান আছেন উনি সেই নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বাংলা সিনেমাকে টেনে নিচ্ছেন। ওনার প্যাটার্ন অনুযায়ী নিজের জায়গায় সক্ষম আছেন। আমি অভিনেতা হিসেবে বিভিন্ন চরিত্রই করব। আমি যে নায়ক হয়ে উঠব তা না। অমার লক্ষ্য গল্প বলা। চরিত্রের প্রাপ্তি, আশা, হতাশা নিয়ে উপস্থিত হওয়া। সেটা সিনেমায় কিংবা যেখানেই করি। সেই চেষ্টা চলছে। একেবারে যে বাণিজ্যিক কাজ করব না তা না। যদি মনে হয় করা যায় অবশ্যই করব।
শাহবাজ সানীর মৃত্যুর পর নাট্যাঙ্গনের সিন্ডিকেট নিয়ে কথা চলছে। এ নিয়ে আপনার মন্তব্য কী?
এটাকে সিন্ডিকেট না, ইন্ডাস্ট্রির সমস্যা মনে করি। আমাদের ইন্ডাস্ট্রির বিশেষ সক্ষমতা, নিজস্বতা নেই। আমাদের গল্প দূর্বল হয়, নানারকম সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তার মধ্য থেকে আমরা এটাকে আর্টের পাশাপাশি বিজনেস চিন্তা করলে যখন যে অভিনয়শিল্পীরা টিকে থাকেন তাদের নেওয়ার কথা ভেবে থাকি। আর যদি আমার কাজ মানুষ না দেখে, আমার ওপর অনীহা তৈরি হয় তাহলে কাল আমি থাকব না। এটাই স্বাভাবিক। এভাবেই আমাদের এখানে চলে। কারণ আমরা ভালো গল্প বলতে পারি না, আমাদের গল্প হয় না। ফলে আমাদের অভিনেতাদের ওপর নতুন করে দর্শকের ভালোবাসাও তৈরি হয় না। আমরা একই বা কাছাকাছি গল্প বারবার দেখি। দেখতে দেখতে বিরক্ত হই। সে জায়গায় আমি সিন্ডিকেট বলতে কিছু মনে করি না। এখানে কিসের সিন্ডিকেট থাকবে যেখানে যথাযথ কাজই খুব একটা হয় না। আমরা যার যার জায়গা থেকে ভালো করার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি চাইছি ব্যবসাটা হোক। প্রযোজকরা লগ্নিকৃত অর্থ যেন ফেরত পান। এক্ষেত্রে দর্শকের ভূমিকা অস্বীকার করা যাবে না। কেননা তারা যখন কাজ দেখবেন তখন শিল্প সংস্কৃতি আরও উৎসাহিত হবে। আমাদের জীবনে বিভিন্ন ধরনের ক্রাইসিস। আমরা যখন আরামে থাকব তখন বিনোদনের ওপর আকৃষ্ট হব। আমাদের জীবনে সেই স্বস্তি খুব কম। শুধু মধ্যবিত্ত কিংবা নিম্নবিত্তদের মধ্যে না বাংলাদেশের প্রত্যেক মানুষের জীবনে স্বস্তি কম। এই অস্বস্তির মধ্যেও যারা আমাদের কাজ দেখেন তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। এই জায়গায় সিন্ডিকেট আছে কি নাই কিংবা সিন্ডিকেটের শিকার হলাম কি না— সংজ্ঞায়িত করা মুশকিল। শাহবাজ সানী আমার খুব পছন্দের। মিজানুর রহমান আরিয়ান ভাইয়ের শুভ রাত্রিতে আমরা একসাথে কাজ করেছিলাম। দুই মাস প্রজেক্ট ছিল। কিছুদিন আগে সে আমাকে বলেছিল, আমাদের কি আর কাজ হবে না! তখন বলেছিলাম, দেখ আমি যে স্ক্রিপ্টগুলো করলাম সেখানে যে কোথাও সাজেস্ট করব সেই সুযোগটুকুও নেই। বেশকিছু গল্পে আমি এরকম কোনো চরিত্র পাইনি যেটা শাহবাজ সানী হলে দুর্দান্ত হয়। একটা দুইটা সংলাপ আছে— সেরকম চরিত্র শাহবাজ সানী করবে কেন। তার ক্যালিভার তো অনেক হাই। খুবই ভালো অভিনেতা। আশ্চর্য হচ্ছি শাহবাজ সানী যখন আব্দুল্লাহ করলেন তখন এরকম আরও দশটি প্রজেক্ট তার কাছে আসার কথা ছিল। কিন্তু দশটি কাজই হয়নি তার কাছে আসবে কীভাবে। একজন ভালো অভিনেতার নিজেকে প্রমাণ করতে দশটা কাজ প্রয়োজন। আব্দুল্লাহর পর শাহাবাজ সানীকে বিশেষভাবে দেখার মতো কোনো কাজে পাইনি। এটা তো তার ব্যর্থতা না। আমাদের কাজের দুর্বলতা।।
সামনে কি কি কাজে দেখা যাবে আপনাকে?
আমি ওটিটির গল্পের অপেক্ষায় আছি। যথাযথ গল্প পেলে চ্যালেঞ্জ নেব। বানিজ্যিক সিনেমার প্রতি এখনও সেভাবে আকর্ষণ তৈরি হয়ে ওঠেনি আমার। কেননা আমাদের ১০ জন পরিচালক নেই যারা নিয়মিত কাজ করেন। অন্যদিকে একটি কাজ করে দীর্ঘদিন বসে থাকা আমার সম্ভব না। কেননা আমি এতটা বিত্তবান কিংবা বিলাসী না। সোজা কথায় আমি অনেক নিডি। আমার অনেক দায়-দায়িত্ব আছে যেগুলো আমাকেই পূরণ করতে হয়। তাই এরকম ঝুঁকি আমি নিতে পারি না। যখন মনে হবে নিয়মিত কাজ করতে পারব। প্রতিবছর একটি করে কাজ আসবে। ৫-১০ জন পরিচালক থাকবেন যারা নিয়মিত কাজ করবেন। তখনই সিনেমা নিয়ে চিন্তা করব। আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে সামনে একটি মুক্ত চলচ্চিত্রে কাজ করব। কোরবানি ঈদের আগে শুটিং শুরু হবে। ওনাদের দিক থেকে ঘোষণা আসলে আমি জানাব। এখন এরকম সিনেমাতে কাজ করছি। কিছুদিন আগে অনুদানের একটি সিনেমায় কাজ করলাম। এ ধরনের কাজগুলো নিজের স্বস্তির জন্য করছি।
সমসাময়িক বিষয় নিয়ে মন্তব্য করতে দেখা যায় আপনাকে। জুলাই বিপ্লবে সরব ছিলেন। অনেকের মতে দেশের বর্তমান আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বড়ই নাজুক। আপনার মন্তব্য কী?
এখন মন্তব্য করা থামিয়ে দিচ্ছি। তখন মন্তব্য করলে ওই পক্ষের বিরোধী দল হয়ে যেতাম । এখন মন্তব্য করলে এই পক্ষের বিরোধী দল বানিয়ে দেওয়া হয়। এই পক্ষটাকে চেনা খুব মুশকিল। এখনো এই পক্ষটাকে এখনও চেনা যায় না। আমরা আসলে সত্যটা গ্রহণ করতে পারি না। ন্যায্যতা গ্রহণ করতে পারি না। এটা আমাদের ভাবা উচিত। আমি তো কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে না। আমি একজন শিল্পী হিসেবে কাজ করে যাব। শিল্পীর মন সব সময় সত্যের দিকেই হেলে থাকে। বিশেষ কারও থেকে কোনো সুবিধা নেওয়ার ব্যাপার আমার মধ্যে নেই। এটা শিল্পীর মধ্যে থাকে না। যিনি কবিতা লেখেন তিনি সত্যিটাই লেখেন। মিথ্যাটা না। কিন্তু কবিকেও যদি বিভিন্ন পক্ষের বানিয়ে দেওয়া হয় তাহলে মুশকিল। আগে দেখতাম অন্যায়ের বিরুদ্ধে বললে আমাদের বিভিন্ন ধরনের ট্যাগ দেওয়া হতো। সেই কালচারটা এখনও রয়ে গেছে। সেটা যে শুধু রাজনৈতিক দল দিচ্ছে তা কিন্তু না। এখন জনগণও দিচ্ছে। পাবলিক পাবলিককে ট্যাগ দিচ্ছে। আবার পাবলিকই বলছে, আমাদের বিভিন্ন ট্যাগ দিয়েন না। পাবলিকের মধ্যে বিভিন্ন ধাপ আছে। সেই প্রলেপ এত বেশি যে আপনার একটি কথা কতটা প্রভাবিত করবে সেটা বলা মুশকিল। আমাদের জনসাধারণ যতক্ষণ না বিচক্ষণ হবেন, স্বশিক্ষিত হবেন ততক্ষণ পর্যন্ত এই জনগণের কথায় কিছু যায় আসে না। আমাদের কথায় আগেও কিছু যায় আসেনি এখনও যায় আসে না।
আরআর