শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫, ঢাকা

রাতে ছিনতাইকারীর কবলে অভিনেতা হারুন, খোয়ালেন টাকা

বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২ মার্চ ২০২৫, ০৪:২৯ এএম

শেয়ার করুন:

রাতে ছিনতাইকারীর কবলে অভিনেতা, খোয়ালেন টাকা

দেশে আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে ছিনতাই। সামাজিক মাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমে আজকাল নিয়মিত চোখে পড়ে ছিনতাইকারীর উৎপাতের খবর। এবার এর ভুক্তভোগী অভিনেতা হারুন রশিদ। শনিবার রাত ১১টার দিকে শুটিং শেষে ফেরার পথে ছিনতাইয়ে শিকার হন তিনি। 

রাতে সামাজিক মাধ্যমে খবরটি জানিয়ে তিনি লেখেন, ‘কাঞ্চন ৩০০ ফিট থেকে কুড়িল বিশ্বরোড রাত বিরাতে সাবধানে। আজকে আমি কট খেয়েছি কাল আপনি খেতে পারেন। ওই রোডে রাতে সিএনজি স্টার্ট বন্ধ হলে ধরে নেবেন আপনি কট। যেমনটা আমার হয়েছে। শরীরের উপর দিয়া যায় নাই টাকার ওপর দিয়ে গেছে। নাটক করি বলে মোবাইলটা দিয়া গেছে। ধন্যবাদ ছিনতাইকারী ভাইয়েরা।’


বিজ্ঞাপন


বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করা হলে ঢাকা মেইলকে হারুন রশিদ জানান, ৩০০ ফিটে রূপগঞ্জে ম্যাডামের বাড়ি বলে পরিচিত স্থানে দুই দিনের শুটিং ছিল তার। সেখান থেকে ফেরার পথে নীলা মার্কেটের কাছাকাছি ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে নয় হাজার টাকা খাওয়া যায় তার। তার কথায়, ‘কাঞ্চন থেকে পাঁচ-সাত মিনিট যাওয়ার পর নীলা মার্কেট পার হওয়ার আগে বাম দিকের রাস্তাটায় একটু অন্ধকার। ওখানেই ঘটনাটি ঘটেছে। আমি সিএনজিতে ছিলাম। ওই জায়গায় সিএনজিটা থামায়। ৩০-৪০ সেকেন্ডের মধ্যে দুটি বাইক চলে আসে। সিএনজি চালক বলছিলেন, গ্যাসের সমস্যা হয়েছে, গাড়ি স্টার্ট নিচ্ছে না। এরকম ঘটনা আগে অনেক শুনেছি। তাই যখনই সে বলছিল, স্টার্ট নিচ্ছে না তখনই কু ডাকছিল। ভাবছিলাম আমি বোধহয় বিপদে পড়লাম। তখনই বাইক দুটি আসে।’

এরপর অভিনেতা বলেন, ‘ওদের হাতে চাপাতি ছিল। শুনেছি চাপাতি দিয়ে কোপ টোপ দেয়। সে কারণে ওরা বলার সঙ্গে সঙ্গে মানিব্যাগ, মোবাইল দিয়ে দেই। সঙ্গে ব্যাগ ছিল। খুব স্মার্ট ছেলেপেলে। বলছিল, ব্যাগে জামা কাপড় ছাড়া কিছু নাই। অন্য এক ছেলে বলছিল উনি তো অভিনয় করেন। ওনার মোবাইলটা নিস না। নিলে আমরা ঝামেলায় পড়ব। টাকাগুলো নিয়ে ওনাকে বিদায় কর। আমাকে শুনিয়েই কথাগুলো বলছিল। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই কাজটি হয়ে গেল। এরপর ওরা বাম দিকের রোড দিয়ে ঝড়ের বেগে চলে গেল।’ 

হারুন রশিদ বলেন, ‘এরপর আমি নির্বাক হয়ে ফুটপাতে বসে রইলাম। অনেক গাড়ি যাচ্ছিল। কিন্তু হাত নাড়া সত্ত্বেও থামছিল না। পরে একটি বাইক থামে। ঘটনা খুলে বললে তিনি আমাকে পৌঁছে দেন।’

এই অভিনেতা আরও বলেন, ‘আমি রাত বিরাতে কোথাও যাই না। গেলে ইউনিটের গাড়ি ব্যবহার করি। আজকেও ওরা ইউনিটের গাড়িতে যেতে বলছিল। কিন্তু আমি ভাবলাম ইউনিটের গাড়িতে গেলে রাত দুইটা-তিনটা বাজবে। তাই একা আসছিলাম। আর এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হলাম।’


বিজ্ঞাপন


এই ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নিয়ে কিছুই হবে না। আমি নীলা মার্কেটের সামনে পুলিশের গাড়িও দেখেছি। তাদের সঙ্গে কথা বলিনি। চলে এসেছি। এগুলো এখন অহরহ হচ্ছে। আমার কাছে খুব স্বাভাবিক ব্যাপার মনে হয়েছে। তবে ভয় পেয়েছি। কেননা কোপ টোপ যদি দেয় এই ভয় ছিল। ট্রমাটাইজড হয়ে গিয়েছিলাম। আধ ঘণ্টা রাস্তার মধ্যে বসে ছিলাম। কাউকে যে ফোন করব, ব্যাগটা নিয়ে যে হাঁটব, অন্ধকার থেকে একটু আলোতে যাব সেই শক্তিও ছিল না।’

সহকর্মীদের সতর্ক করার উদ্দেশ্যে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন উল্লেখ করে অভিনেতা বলেন, ‘আমি স্ট্যাটাস দিয়েছি এই কারণে যে আমাদের মিডিয়ার ভাই-বোনরা কেউ যেন এই ভুলটা না করে।’

হারুন রশিদ জনপ্রিয় অভিনেতা। ছোটপর্দার পাশাপাশি বড়পর্দায়ও কাজ করেন। বিভিন্ন নাটক, সিনেমা হাস্যরসাত্মক চরিত্রে বেশি দেখা যায় তাকে।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর