অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদের দর্শকপ্রিয়তা ঈর্ষণীয়। তবুও প্রতিযোগিতার ইঁদুর দৌড়ে শামিল হন না। কাজ করে যান নিজের মতো। যা কিছু ভালো তা দিয়ে নিজের ঝুলি পূর্ণ করছেন। ঢাকা মেইলের সঙ্গে আলাপ জমেছিল এ অভিনেতার।
কদিন আগে গেছে ভালোবাসা দিবস। তাই আলাপের শুরু ভ্যালেন্টাইন ডে দিয়ে। কেমন কেটেছে— জানতে চাইলে বলেন, ‘‘ভালোই কেটেছে। পরিবারের সঙ্গে ছিলাম। তবে এ উপলক্ষে বেশ কিছু কাজ করা হয়েছিল। দুর্ভাগ্যবশত মুক্তি পায়নি। সামনের সপ্তাহ থেকে মুক্তি পাওয়া শুরু করবে। ‘উড়ছে এ মন’ আসবে ২৩ তারিখে। ‘আজান’-এর দিনক্ষণ এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। ঈদেও মুক্তি পেতে পারে।’’
বিজ্ঞাপন
শোবিজের সিন্ডিকেট নিয়ে মাঝে মাঝেই কথা হয়। সম্প্রতি তরুণ অভিনেতা শাহবাজ সানীর মৃত্যুর পর ফের আলোচনার টেবিলে সিন্ডিকেট। ইরফান সাজ্জাদের কথায়, ‘সিন্ডিকেট সব জায়গায় আছে। যুগ যুগ ধরে চলছে এবং থাকবে। আমার মতে এর দায় অবশ্যই প্রযোজক পরিচালককে নিতে হবে। সেইসঙ্গে কয়েকজন শিল্পীকে। যারা এটার সাথে যুক্ত তারা বলতে পারবেন এখান থেকে কতটা লাভবান হন।’
সিন্ডিকেটের ভয়াবহতা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমার মনে হয় এটা উচিত না। সবার সব জায়গায় কাজের সুযোগ থাকা উচিত। যাদের মেধা আছে তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করা উচিত। নইলে মেধা হারিয়ে যাবে। যদি সিন্ডিকেটের কারণে মেধাবীরা জায়গা না পায় তবে তা দুঃখজনক।’
বিজ্ঞাপন
ইরফান সাজ্জাদ কখনও সিন্ডিকেটের শিকার হয়েছেন কি না— জানতে চাইলে বলেন, অবশ্যই সিন্ডিকেটের শিকার হয়েছি। অনেকেই জানেন। তবে এসব নিয়ে কথা বলতে চাই না। কেননা আমি আমার মতো করে কাজ করতে পছন্দ করি।’
অভিনেতাকে সমসাময়িকদের তুলনায় কম দেখা যায় পর্দায়। শুধু বেছে কাজ করেন বলে না, সিন্ডিকেটও এজন্য দায়ী করলেন। তার কথায়, ‘এজন্য সিন্ডিকেটও অনেকাংশে দায়ী। তাছাড়া আমি আগে থেকেই খুব বেশি কাজ করি না। এখন আরও বেছে করি। ওটিটি ও সিনেমায় কাজ করছি। তাই খেয়াল রাখতে হয়। কাজ যেন মানসম্মত হয়। এটা নিশ্চিত করতে চাই সবসময়। আমার কাছে মনে হয় গড়পড়তা কাজের চেয়ে সময় নিয়ে ভালো কাজ করাটা গুরুত্বপূর্ণ।’
সিন্ডিকেটকে ‘অবিনশ্বর’ উল্লেখ করে অভিনেতার ভাষ্য, ‘এটা থাকবেই। বলে লাভ নেই। কেননা যিনি লগ্নি করছেন তিনি পছন্দমতো মানুষ নিয়ে কাজ করতেই পারেন। সিন্ডিকেট বানিয়ে ফেলতে পারেন। তিনি কাদের সঙ্গে কাজ করবেন সে সিদ্ধান্ত নিতেই পারেন। এদিক থেকে দোষেরও বলা যায় না।’
সানীর মৃত্যুতে উঠতি অভিনয়শিল্পীদের স্ট্রাগলের গল্প উঠে এসেছে। এটি জীবনের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। তবে ইরফান সাজ্জাদের কথায়, ‘এটা নিয়ে পড়ে থাকার কিছু নেই। প্রত্যেক আর্টিস্টের লাইফে স্ট্রাগল থাকবে। আমার ছিল, অন্যদেরও আছে। এটাকে কাটিয়ে উঠে কতটা ভালো করা যায় সেটা আসল কথা।’
সবশেষে ব্যস্ততার ফিরিস্তি দিয়ে বললেন, ‘‘ঈদের কাজ নিয়ে ব্যস্ততা রয়েছে। ফটোশুট, টিভিসি করছি। সাধারণত যেগুলো করা হয়। ঈদের পরে নতুন একটি সিনেমায় হাত দেব। এছাড়া ‘আলী’ নামের একটি সিনেমা মুক্তির কথা আছে। চেষ্টা করছি যে কাজগুলো করব সেগুলো যেন হারিয়ে না যায়। মানুষের মাথায় যেন থাকে।’’