জ্যাকুলিন পাত্তা না দিলেও সুকেশের আত্মাজুড়ে শুধু তার-ই নাম। একাধিকবার দিয়েছেন প্রমাণ। জেলের বাইরে থাকাবস্থায় নানারকম উপহারে মুড়িয়ে রাখতেন জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজকে। জেলে বসে এবার জেলে বসে উপহার দিলেন আস্ত বিমান।
বিলাসবহুল ওই উড়োজাহাজের সঙ্গে দিয়েছেন দুই পাতার একটি প্রেমপত্র। ‘বেবি গার্ল’ সম্বোধন করেসেখানে লেখা, “তোমাকে প্রেম দিবসের শুভেচ্ছা। এই বছরটা খুব ভালোভাবে শুরু হয়েছে। আমাদের দু জনের জীবনেই ভালো কিছু ঘটতে চলেছে। এখনও একসঙ্গে পথ হাঁটা বাকি। আর কিছু দিন, তার পরেই সারাজীবন প্রতিবছর আমরা একসঙ্গে প্রেম দিবস কাটাব। তাই এই প্রেম দিবসটা আমাদের দুজনের জন্যই খুব বিশেষ। জ্যাকি, আমি তোমাকে সত্যিই খুব ভালোবাসি। পাগলের মতো ভালোবাসি। তুমিই সেরা ভ্যালেন্টাইন।”
বিজ্ঞাপন
উপহার দেওয়া সেই বিমানের আন্মও সুকেশ রেখেছেন প্রেমিকা জ্যাকুলিনের নামে। যার নাম- ‘জে এফ’। তবে জেলে বসে উড়োজাহাজ উপহার দেওয়ার খবর শুনেচটেছেন নেটিজেনুরা। বন্দি অবস্থায় কীভাবে উপহার দেন সুকেশ? সে প্রশ্ন অনেরকের।
সে ব্যাখ্যা দিয়ে সুকেশ ওই চিঠিতে লিখেছেন, “এবার থেকে এই উড়োজাহাজে করে ঘুরবে। তোমার যাতায়াতে খুব সুবিধা হবে। কেউ তোমাকে প্রশ্নও করবে না। কারণ, আমি এই বছরের আয়কর ফেরত দেওয়ার নথিতে এই উড়োজাহাজের কথাও উল্লেখ করেছি।”
এরপর লেখেন, “তুমি কি জানো, প্রেম দিবস আমাদের জন্য কতটা স্পেশাল? এমনই একটা দিনে আমরা পরস্পরকে হ্যাঁ বলেছিলাম। পরস্পরকে ক্ষমা করেছিলাম। তাই প্রেম দিবস উপলক্ষে তোমার জন্য বিশেষ উপহার রইল একটি গাল্ফস্ট্রিম উড়োজাহাজ। যেখানে তোমার নামের আদ্যক্ষর খোদাই করা রয়েছে।”
বিজ্ঞাপন
এর আগে গেল বছরের বড়দিনে জেলে বসে জ্যাকুলিনকে আঙুরের বাগান উপহার দিয়েছিলেন সুকেশ। সঙ্গে চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘উৎসবে তোমার থেকে দূরে থাকতেই বড় বিরক্তি। যতই তোমার থেকে দূরে থাকি, তোমার সান্তা হতে কে আটকায়!’ তবে এ নিয়ে সে সময় কোনো মন্তব্য করেননি জ্যাকুলিন। যদিও সুকেশকে প্রাণপণে ঝেড়ে ফেলতে চান নায়িকা। তবে সুকেশ নাছড়বান্দার মতো লেগেই আছেন।