গতকাল মঙ্গলবার আদালত প্রাঙ্গনে পরীমণির সার্বক্ষণিক সঙ্গী হিসেবে দেখা যায় তরুণ গায়ক শেখ সাদীকে। অভিনেত্রীর জামিনদারও হন তিনি। এরপর থেকেই নেটিজেনরা কৌতূহলী হয়ে উঠেছেন সাদীকে নিয়ে। সামাজিক মাধ্যমে চলছে আলোচনা। তবে সাদী জানালেন বিষয়টি চোখে পড়েনি তার।
ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘আমি পারিবারিক কাজে কিছুটা ব্যস্ত আছি। সে কারণে হয়তো বিষয়টি চোখে পড়েনি আমার।’
বিজ্ঞাপন
এদিকে পরীমণি, শেখ সাদী একে অন্যকে বন্ধু হিসেবে হিসেবে সম্বোধন করেছেন। তবে নেটাগরিকরা তা মানতে নারাজ। গতকাল তাদের একসঙ্গে দেখার পর থেকে অনেকের ধারণা প্রেমের সম্পর্কে আছেন পরীমণি-শেখ সাদী।
পরীমণির সঙ্গে বন্ধুত্ব নাকি প্রেম— জানতে চাইলে আগ্রহ দেখালেন না সাদী। শুধু বললেন, ‘সবাই যেরকম ভাবছেন সেরকম কিছু না। আমাদের মধ্যে বন্ধুত্বের বাইরে কোনো সম্পর্ক নেই। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাইছি না।’
কীভাবে বন্ধুত্ব পরীমণির সঙ্গে জবাবে— শেখ সাদী জানান, কাজের সূত্রে পরিচয়। এরপর বন্ধুত্ব। তার কথায়, ‘আমার একটি গানের ব্যাপারে ওনার সঙ্গে কথা বলেছিলাম। এরপর থেকে বন্ধুত্ব আমাদের।’
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন- আদালতে পরীমণির জামিনদার কে এই তরুণ?
আর কথা বাড়াননি শেখ সাদী। বাইরে আছেন, এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন— অজুহাত দেখান। পরে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও সাড়া দেননি শেখ সাদী।
এদিকে সামাজিক মাধ্যমে সখ্যতার প্রমাণ মিলেছে শেখ সাদী-পরীমণির। গেল ৩ জানুয়ারি সাদীর কাছাকাছি এসে সেলফিবন্দি হয়েছেন পরী। এছাড়া সাদীর একটি ভিডিও নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেছেন নায়িকা।
২৩ জানুয়ারি পোস্ট করা সে ভিডিওতে পরীমণি লিখেছেন, ‘তুমি আমার দেখা সবচেয়ে প্রতিভাবান ব্যক্তি! সাদী।’ সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন লাভ ইমোজি।
এরপর লিখেছেন, ‘আমি এক রকম তার কনসেন্ট ছাড়াই এটা ক্যাপিট্যুরেড করেছিলাম যখন সে তার আপকামিং মিউজিক অ্যালবামের শেষ গানটা লিখছিল! আমি অবাক হয়ে দেখছিলাম এত মানুষের মধ্যে, এত রেগুলার ওয়েতে কি করে একটা মানুষ এ রকম একটা কিছুতে মনোনিবেশ করতে পারল! এত সামনে থেকেও আমার নিজেরই বিশ্বাস হচ্ছিল না। গানটা সে কাটছাঁট করে জাস্ট পনেরো মিনিটের মধ্যেই লেখা শেষ করল! আমি তখন আবারও বুঝলাম, মানুষ তার নিজস্ব পছন্দে শ্রেষ্ঠ। তুমি তোমার মতন করে বড়, অনেক বড়। বহু বড় হবার আরও অনেক বাকি। পৃথিবীকে জানতে দিও তুমি এই পৃথিবীর আলো।’
পরীমণির মূল্যায়ন গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন সাদি। মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, ‘এটা আমার কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা ব্যাখ্যা করার মতো কোন ভাষা আমার কাছে নেই। আমি খুশি।’
এসব দেখে দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাচ্ছেন নেটিজেনরা। তবে নীরব আছেন পরীমণি। অন্যদিকে শেখ সাদীও বন্ধুত্বের মোড়কে রাখলেন সম্পর্কটা। তাই নিশ্চিত করে কিছুই বলা যাচ্ছে না। কোথাকার জল কোথায় গড়ায়— সময়-ই বলে দেবে তা।