না ফেরার দেশে চলে গেছেন একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান। আজ দিবাপূর্ব রাত ১টা ১০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেত্রী। তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন তথা এফডিসিতে।
অভিনেত্রীকে ঢাকার বনানী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে। শনিবার বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যম জানিয়েছেন অভিনেত্রীর ছেলে নিশাত রহমান মনি।
বিজ্ঞাপন
এর আগে, বেলা সাড়ে ১১টায় অঞ্জনার মরদেহ নেওয়া হয় প্রিয় কর্মস্থল বিএফডিসিতে। শেষবারের মতো এই চিত্রনায়িকাকে দেখতে ছুটে আসেন তার দীর্ঘদিনের সহকর্মী, ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। জোহরের নামাজের পর প্রথম জানাজা শেষে অভিনেত্রীর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
গেল ডিসেম্বরের শুরুতে জ্বরে আক্রান্ত হন অঞ্জনা। জ্বর না কমলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। কয়েকটি পরীক্ষার পর রক্তের সংক্রমণ ধরা পড়ে। তবে অসুস্থতার কথা অঞ্জনা জানাতে চাননি।
এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে অঞ্জনাপুত্র বলেছিলেন, ‘আমার আম্মুই চাননি তার অসুস্থতার কথা কাউকে কিছু বলি। উনি ভেবেছিলেন, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। অযথা নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়ে কাউকে দুশ্চিন্তায় ফেলতে চাননি।’
সেসময় দেশের একটি বেসরকারি হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) তার চিকিৎসা চলছিল তার। পরে তাকে স্থানন্তরিত করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ)। সেখানেই মৃত্যু হয় তার।
বিজ্ঞাপন
ঢালিউডে অঞ্জনার পথচলা শুরু ১৯৭৬ সালে। ‘দস্যু বনহুর’ নামের একটি সিনেমার মাধ্যমে খুলেছিলেন ক্যারিয়ারের খাতা। আর পেছনে তাকাতে হয়নি। সর্বাধিক যৌথ প্রযোজনা এবং বিদেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। দুই বার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। তিন শতাধিক সিনেমা রয়েছে তার।