জুলাই বিপ্লব চলাকালীন একটি টক শো সঞ্চালনা করতে গিয়ে আলোচনায় আসেন উপস্থাপিকা দীপ্তি চৌধুরী। রীতিমতো ভাইরাল হন। শহরের দেওয়ালে আঁকা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গ্রাফিতিতেও স্থান পায় তার মুখ।
তবে আলোচনা ও প্রশংসা মন খুলে উপভোগ করতে পারছেন না দীপ্তি। সহ্য করতে হচ্ছে কটাক্ষও। টক শো শেষে বিচারপতি মানিকের ওপর ক্ষুব্ধ দীপ্তি চিৎকার করে জানিয়েছিলেন তিনি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।
সেটিই যেন বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে এই উপস্থাপিকার জন্য। এতদিন তাকে বডি শেমিং করা হয়েছে। বয়স নিয়ে কটাক্ষ হয়েছে। এবার সামাজিক মাধ্যমে নেটিজেনদের অনেকেই জানতে চাইছেন তার ‘মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান’ পরিচয়ের সত্যতা।
এ নিয়ে বেশ বিরক্ত দীপ্তি। ক্ষোভ ঝেড়েছেন সামাজিক মাধ্যমে। নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বডি শেমিং, ট্রলিং, পলিটিক্যাল হ্যারেসমেন্ট আরো কত কিছু! একটার পর একটা। ক্লান্ত লাগে না আপনাদের? একবারও বুক কাঁপে না শুধুমাত্র রাজনৈতিক জেদ থেকে এমন মিথ্যাচার করতে? আমার নিরপেক্ষতা আপনাদের জন্য সুফল বয়ে আনল না বলে এত কিছু করতে হবে? একবার ভেবে দেখবেন।’
বিজ্ঞাপন
দীপ্তির পোস্টে মন্তব্যের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন নেটকাগরিকেরা। তবে সেসব মন্তব্যের সব যে তার পক্ষে গেছে তা কিন্তু না। বিপক্ষেও লিখেছেন অনেকে। অবশ্য সেসবের কোনো উত্তর দেননি দীপ্তি।