বাবা সিদ্দিকি খুনের পর থেকে সালমানের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বাড়ির সমানেও দেওয়া হচ্ছে কড়া পাহারা। তাকে হত্যা করাকে জীবনের একমাত্র লক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করেছেন লরেন্স বিষ্ণোই। তবে সেসবে ভয় পাচ্ছেন না ভাইজান। তার প্রমাণ দিলেন ‘সিংহাম অ্যাগেইনে’র শুটিংয়ে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে এসেছিল, সিংহামের সিকুয়েলে ক্যামিও করার কথা থাকলেও নিরাপত্তার কথা ভেবে সিদ্ধান্ত বদলেছেন। শুটিংয়ে যোগ দিচ্ছেন না তিনি। পরিচালক রোহিত শেঠিও এমন অস্থিতিশীল সময়ে ভাইজানকে জোর করতে চাইছেন না।
তবে হুমকি-ধামকি বাতাসে উড়িয়ে ভাইজান হাজির হন সিংহামের সেটে। সূত্রের খবর, শুটিং ফ্লোরে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে শুটিং করেন তিনি। সালমানের জন্য নাকি বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করেছিলেন রোহিত শেঠি ও তার শুটিং টিম। শুটিংয়ে ছিলেন অজয় দেবগণও।
এদিকে সালমানের হুমকিদাতা লরেন্সকে হত্যা করলে পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছেন ক্ষত্রিয় কর্ণি সেনার জাতীয় সভাপতি রাজ শেখাওয়াত। সামাজিক মাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন কাজটি করলে মোটা পুরস্কার দেওয়া হবে।
তবে শেখাওয়াতের এই হুমকি সালমানের জন্য নয়। তার দাবি, সমাজকর্মী তথা শ্রী রাষ্ট্রীয় রাজপুত কর্ণি সেনার প্রেসিডেন্ট সুখদেব সিং গোগামেডিকে খুন করেছে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং। সে কারণেই তিনি বলেন, যে পুলিশকর্মী লরেন্স বিষ্ণোইকে খুন করবেন তাকে এক কোটি ১১ লক্ষ ১১ হাজার ১১১ টাকা পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে।
সালমান ও বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের শত্রুতা ১৯৯৮ সাল থেকে শুরু, যখন অভিনেতা রাজস্থানে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’-এর শুটিং চলাকালীন দুটি কৃষ্ণসার হরিণ শিকার করে মেরে ফেলেছিলেন। বিষ্ণোই সম্প্রদায়ে কালো হরিণকে পবিত্র বলে মনে করা হয় এবং তারা তখন সালমানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে, তাকে গ্রেপ্তারের দাবি করে। তখন সালমানকে কারাগারে সাজা দেওয়া হলেও জামিনে মুক্তি পান তিনি।