শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

‘রঙিলা কিতাব’-এ আমার চরিত্রটি ডায়নামিক: মোস্তাফিজুর নূর ইমরান 

রাফিউজ্জামান রাফি
প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৫৩ পিএম

শেয়ার করুন:

‘রঙিলা কিতাব’-এ আমার চরিত্রটি ডায়নামিক: মোস্তাফিজুর নূর ইমরান 
আগামী ৮ নভেম্বর ওটিটি মাধ্যমে মুক্তি পাচ্ছে ‘রঙিলা কিতাব’। কিঙ্কর আহসানের উপন্যাস অবলম্বনে অনম বিশ্বাস নির্মিত এ ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেছেন মোস্তাফিজুর নূর ইমরান। তার সঙ্গে কথোপকথন জমে উঠেছিল ঢাকা মেইলের। কথায় কথায় উঠে এসেছে অভিনেতার পেশাগত ও খানিক ব্যক্তিগত জীবন। 

মুক্তির আগেই ‘রঙিলা কিতাব’ বেশ সাড়া জাগিয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। নেটিজেনদের মধ্যে সিরিজটি নিয়ে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। মুক্তির পর তার কতটা পূরণ হবে ভেবে কি চাপ বোধ করছেন?  


বিজ্ঞাপন


না, এরকম কোনো চাপ বোধ করছি না। কেননা কনটেন্টের গল্প ভালো ছিল। নির্মাতা ভালো। সব মিলিয়ে খুবই ভালো কিছু হয়েছে। এজন্যই কাজটি করা। আশা করি সবার ভালো লাগবে। 

RK-0fa418a0e67fa710b9cb1433ae9e7484

কনটেন্ট ভেদে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে ধরা দেন আপনি। এক চরিত্র থেকে আরেক চরিত্রে ট্রান্সফরমেশন ব্যক্তি জীবনে কোনো প্রভাব ফেলে কি?

প্রত্যেক কাজ-ই কোনো না কোনোভাবে একজন অভিনেতার জীবন থেকে কিছুটা করে সময় নিয়ে নেয়। বলতে পারেন প্রতিটি চরিত্রকে ধারণ করতে কিছুটা করে জীবনী শক্তি যায়। তবে সেটা ব্যক্তি জীবনের ওপর যে খুব প্রভাব ফেলে ঠিক সেরকম না। একটি কথা আছে আপনাকে সজ্ঞানে অবচেতনে যাওয়ার প্রক্রিয়া। সেটা কিছুটা হয়তো কাজ করে। কিন্তু তা যে ব্যক্তি জীবনের ওপর খুব প্রভাব ফেলে তা একেবারেই না। 


বিজ্ঞাপন


অনেক সময় অভিনয়শিল্পীদের বলতে শুনি, ‘এই চরিত্রটি থেকে বের হতে অনেক সময় লেগেছে।’ আপনার ক্ষেত্রে কখনও এরকম হয়েছে? 

যেহেতু আমি প্রত্যেকটা কাজ দীর্ঘ সময় নিয়ে করি। ফলে যখন যে চরিত্রে কাজ করি তখন ওই চরিত্রের সঙ্গে জীবন যাপনের এক ধরনের অভ্যস্ততা তৈরি হয়। সেই অভ্যস্ততা থেকে বের হয়ে আসতে কখনও কখনও কিছুটা সময় লাগে। ওই সময়টা আমি নেই। কারণ নিজেকে পুনরায় ফিরে পাওয়ার একটা ব্যাপার থাকে। তাছাড়া ওই কাজ থেকে নতুন কী শিখলাম সেটি অনুধাবন বা উপলব্ধি করতেও খানিক সময় লাগে।

463969161_3149557235183347_3546759059983458635_n

‘রঙিলা কিতাবে’ আপনার চরিত্র সম্পর্কে জানতে চাচ্ছিলাম?

এখানে আমার চরিত্র বেশ ডায়নামিক। আমাদের চেনা পরিচিত মানুষের মতো। এরকম প্রায়ই আমরা দেখি। ‘রঙিলা কিতাব’ উপন্যাস যারা পড়েছেন তারা হয়তো ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। চরিত্রটির নাম প্রদীপ। রাজনৈতিক ফাঁদে পড়ে তার বাস্তব জীবন ধ্বংসের মধ্য দিয়ে যায়। সেই জায়গাটা সে ডিল করতে থাকে। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে না সাধারণ মানুষ হিসেবে তার নতুন জীবনে রাজনীতিটা কীভাবে বাজে প্রভাব ফেলে। এটাই হচ্ছে প্রদীপের চরিত্র। 

প্রস্তুতির জন্য কতটা সময় লেগেছে?

চরিত্রের প্রস্তুতিতে নির্মাতা অনম ভাই ভালো ভূমিকা রেখেছেন। দীর্ঘসময় তার সঙ্গে আলোচনা করেছি। যেহেতু এতে বেশ কিছু অ্যাকশন দৃশ্য আছে। সেকারণে প্রস্তুতিটা নিতে সময় লেগেছে। একজন মানুষকে ধন্যবাদ দিতে চাই। তিনি আসিফ হাসান সাগর। আমার প্রশিক্ষক। ওনার কারণেই দৃশ্যগুলো স্বাভাবিকভাবে ফুটিয়ে তোলা সম্ভব হয়েছে। 

458314150_1104103277743100_5650356967407396124_n

পরীমণির সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন? 

খুব ভালো। তার মানে বলতে চাচ্ছি উনি যেভাবে চরিত্রটাকে তুলে ধরেছেন সেটা দারুণ ছিল। মনে হয় দর্শক যখন দেখবেন তখন বুঝতে পারবেন।

‘রঙিলা কিতাব’কে সবাই পরীমণির ওয়েব সিরিজ হিসেবে সম্বোধন করছে। আপনার নাম খুব কম আসছে। এটা দেখে পরীর তারকাখাতির কাছে কি নিজেকে ম্লান মনে হচ্ছে? 

না এটা কখনও হয়নি। এর আগে ‘মহানগরে’র ক্ষেত্রেও না ‘কাইজারে’র ক্ষেত্রেও না। একবার বলেছিলাম মানুষ আমাকে মনে রাখুক বা না রাখুক সেটা গুরুত্বপূর্ণ না। আমার অভিনয় ও চরিত্রটাকে মনে রাখছে কি না সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। 

322962840_4265676046890141_2584390177899580517_n

মেজবাউর রহমান সুমনের ‘রইদ’ সিনেমায় যুক্ত হয়েছেন। এ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছিলাম...

এটা নিয়ে কিছুই বলতে পারব না। এজন্য দুঃখিত। যখন মুক্তি পাবে তখন বলব।

দাম্পত্য জীবন কেমন চলছে অর্ষার সঙ্গে? 

ফ্যান্টাস্টিক। আমরা খুবই ভালো বন্ধু। 

418225745_2914455085360231_4317278711267776429_n

এক কথায় অর্ষাকে কি বলে মূল্যায়ন করবেন? 

আমি খুবই ভাগ্যবান তাকে পেয়ে। আমি তার খুব বড় ভক্ত। বিশেষ করে তার ব্যক্তিত্বের। দারুণ একজন মানুষের সঙ্গে আমি আমার জীবনটা কাটাচ্ছি। 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর