সাদা মেঘ আর শ্বেত শুভ্র কাশ ফুল বলে দেয় শরৎ এসেছে। মাসটির অপেক্ষায় মুখিয়ে থাকেন সনাতন ধর্মের অনুসারীরা। কেননা এসময় বাবার গৃহে আসেন দূর্গতিনাশিনী দেবী দূর্গা। তার আগমনে ঢাকের বোল, শাঁখের ধ্বনি, কাসার থাল বেজে ওঠে প্রাণ খুলে। শুরু হয় শারদীয় দুর্গোৎসব। এসময় পূজার পরিকল্পনা ও ব্যস্ততায় কাটে হিন্দু সম্প্রদায়ের দিন।
দুর্গোৎসব দোল দিয়েছে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী বাঁধন সরকার পূজার মনেও। ঢাকা মেইলের সঙ্গে গায়িকা ভাগ করে নিয়েছেন পূজার পরিকল্পনা।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ‘অন্য সময় অনেক শো থাকে। এবার তেমন নেই। লাইভ হচ্ছে। নিজেদের মধ্যে কিছু প্রোগ্রাম আছে। ওখানে যাব। একটা দিন পরিবারের জন্য রাখব। একদিন বন্ধুদের জন্য রাখব। এভাবেই পূজার পরিকল্পনা করে থাকি। তাছাড়া এ সময় অনেক ব্যস্ততা থাকে।’
ছোটবেলার পূজা বেশি রঙিন ছিল বলে জানান পূজার। তার কথায়, ‘বাবার চাকরি সূত্রে এক-দুই বছর পরপর তার পোস্টিং হতো। ক্লাস এইট পর্যন্ত বিভিন্ন জেলায় ছিলাম। বিভিন্ন অঞ্চলের পূজা মন্ডপ ঘোরার সৌভাগ্য হয়েছে। এ কারণে আমার ছোটবেলার পূজা অনেক বেশি রঙিন ছিল। এছাড়া নতুন জামা পরা, দাদু বাড়ি যাওয়া, একদিনের জন্য ঢাকায় আসা। সব মিলিয়ে অনেক মজার ছিল ছোটবেলার পূজা।’
বিজ্ঞাপন
ছেলেবেলার সঙ্গে বড়বেলার পূজার আনন্দেও তফাৎ খুঁজে পান পূজা। তিনি বলেন, ‘অনেক বেশি তফাৎ। আগে মনমতো ঘুরতে পারতাম। এখন চাইলেও পারি না। কোনো মন্ডপে গেলে নিজের মতো করে বেশিক্ষণ উপভোগ করতে পারি না। আগে শুধু পূজা নিয়েই ব্যস্ত থাকতাম। বড় হওয়ার পর আমার বিভিন্ন কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। পূজার আমজেটা এখন কম অনুভব করি।’
এবার পূজায় অন্যতম প্রার্থনা কী— জানতে চাইলে গায়িকা বলেন, ‘পূজায় ঠাকুরের কাছে নির্দিষ্ট কোনো চাওয়া নেই। তবে দেশের জন্য চাওয়া আছে। এবার দেশের পরিস্থিতির জন্য আগের মতো শো হচ্ছে না। আগে তো সকাল বিকাল রাত অনুষ্ঠান হতো। আমি চাই সবাই যেন নিরাপদে পূজা উদযাপন করতে পারি। দেশের সবাই যেন মিলেমিশে সব উৎসব পালন করতে পারি। দেশের সব মানুষ যেন শান্তিতে থাকতে পারে। এটাই চাওয়া।’
সবশেষে পূজা জানান, পূজার কোনো গান আসছে না তার। তবে ৭ অক্টোবর ’তুই ছাড়া’ শিরোনামে আমার একটি গান প্রকাশ পেয়েছে। ’অমানুষ’ সিনেমার গান। এছাড়া পূজার পর কাজী শুভ ভাইয়ের সঙ্গে একটি গান মুক্তি পাবে। হাতে আরও কিছু কাজ আছে। সময় হলে সেসব জানাবেন।