নাটক ও ওটিটি মাধ্যমে মুগ্ধতা ছড়িয়ে নিশাত প্রিয়ম প্রিয় হয়ে উঠেছেন দর্শকের। জনপ্রিয়তা পেয়েও খেই হারাননি। স্রোতের জোয়ারে নিজেকে না ভাসিয়ে পা ফেলছেন ভেবে চিন্তে। কাজ করছেন বেছে বেছে। যা কিছু ভালো তাই নিয়ে চলছেন পথ। ঢাকা মেইলের কাছে মনের আগল খুলেছেন প্রিয়ম।
ব্যস্ততা কী নিয়ে?
বিজ্ঞাপন
বর্তমানে মাছরাঙা টেলিভিশনের জন্য ‘সিটি লাইফ’ নামে একটি সিরিয়ালে কাজ করছি। বিশ পর্ব পর্যন্ত প্রচারিত হয়েছে। এটা নিয়েই ব্যস্ততা। এছাড়া কিছু ওয়েব সিরিজেও কাজ করেছি। তবে এখন সে সম্পর্কে বলা বারণ। সময় হলে বলব।
সমসাময়িকদের তুলনায় আপনার কাজের সংখ্যা কম। কেন?
বিশেষ কোনো কারণ নেই। আমি সবসময় একটু গল্পনির্ভর কাজ করার চেষ্টা করি। গল্প ভালো লাগলে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করি। এর বাইরে না। এ কারণেই হয়তো আমার কাজের পরিমাণটা একটু কম।
বিজ্ঞাপন
একজন অভিনয়শিল্পীকে চরিত্রের প্রয়োজনে বিভিন্ন পরিবেশে কাজ করতে হয়। সেক্ষেত্রে খাপ খাইয়ে নেওয়াটা কতখানি চ্যালেঞ্জের?
এটা আসলেই চ্যালেঞ্জের। আমরা যারা শিল্পী তাদের সব ধরনের পরিবেশে কাজ করতে হয়। যেহেতু চরিত্রের ওপর জোর দিয়ে থাকি এবং কাজটাকেই প্রাধান্য দেওয়া হয় সেহেতু বিভিন্ন পরিবেশ ও লোকেশনে যেতে হয়। অনেক সময় খাপ খাইয়ে নিতে কিংবা কাজ করতে কষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু কিছু করার থাকে না। কারণ কাজ তো কাজই। কষ্ট করে কাজটা করলেই দিনশেষে ভালো ফল আসবে। এ কারণে যত কষ্টই হোক কষ্ট বলে মনে হয় না।
পট পরিবর্তনের পর দেশের বিভিন্ন খাতে সংস্কার চলছে। বিনোদন অঙ্গনেও ছোঁয়া লেগেছে। কতটা পরিবর্তন হবে বলে মনে করছেন?
আমি আশাবাদী। পরিবর্তন হবে। আমাদের কাজের জায়গা আগেও সুন্দর ছিল এখনও ভালো আছে। আগে এক সরকারের তত্ত্বাবধানে দেশ ছিল। এখন সরকার বদলেছে। কিছুটা অস্থিরতা থাকবেই। শুধু আমাদের কাজের জায়গা না প্রত্যেক খাতেই এখন কিছুটা অস্থিরতা চলছে। আশা করি, আবার সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে যাবে। সবাই সুন্দরভাবে কাজ করতে পারব।
শিল্পাঙ্গনে রাজনৈতিক প্রভাব— কীভাবে দেখেন?
আমি আসলে রাজনীতির কিছু বুঝি না। কখনও রাজনীতির মধ্যে ছিলাম না। থাকতেও চাই না। এতটুকু বলতে চাই যেখানেই হোক যে অঙ্গনেই হোক আমি ন্যায়ের সাথে থাকতে চাই। আমার কাছে যেটা ঠিক মনে হবে সেটাকে ঠিক বলব যেটাকে ভুল মনে হবে ভুল বলব। আমি ন্যায়ের সাথে থাকতে চাই এবং আছি। আমার মূল ভাবনা এটাই।
‘অদৃশ্য’ ওয়েব সিরিজে আপনার চরিত্র বেশ চমকপ্রদ ছিল। মুক্তিপ্রতিক্ষীত কাজগুলোতেও কি সেই ধারাবাহিকতা থাকবে?
সেটা বলা মুশকিল। কেননা প্রত্যেকটা কাজই আমরা ভালোবেসে করি। কিন্তু কোন কাজ দর্শকের কাছে ভালো লাগবে সেটা বলা যায় না। আগের কাজগুলো যেভাবে করেছি এগুলো তেমনি যত্ন সহকারে করেছি। বাকিটা নির্ভর করছে দর্শকের ওপর।
সিনেমার ক্ষেত্রে এমন কোনো গল্প পাননি যেটা পড়ে মনে হয়েছে সিনেমাটি করতে চান। কেমন গল্প খুঁজছেন?
আমি এমন গল্পের আশায় থাকি যেটা পড়লে মনে হবে এর জন্যই অপেক্ষায় ছিলাম। তবে কেমন ধরনের গল্প সেটা বলা কঠিন। কেননা গল্প একেকটা একেক রকম হয়। কোন গল্পটা আমাকে টানবে সেটা আগে থেকে বলা কঠিন।
আরআর