কোটা আন্দোলনে বিনোদন অঙ্গনের তারকারা ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে দাঁড়ালেও তৃতীয় শ্রেণির নায়িকা হিসেবে পরিচিত শিরিন শিলার অবস্থান ছিল বিপরিতমুখী। ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে করেন কটাক্ষ। নিজের ফেসবুকে লেখেন, ‘কিসের এত আন্দোলন ভাই? সুখে থাকতে ভূতে কিলায়।’
এরপর থেকেই নেটিজেনরা এক হাত নেওয়া শুরু করেন শিরিন শিলাকে। যা মুখে আসে তাই বলতে থাকেন। তুমুল কটাক্ষের মুখে ভোল পাল্টান এ নায়িকা। নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে দেওয়া পোস্টটি সম্পাদনা করে তাতে জুড়ে দেন আরও কয়েকটি লাইন। যা সংযুক্ত করেছেন পূর্বের লাইন দুটির ব্যাখ্যা হিসেবে।
বিজ্ঞাপন
সেখানে লেখেন, ‘কিসের এতো আন্দোলন ভাই? সুখে থাকতে ভূতে কিলায়। আমি কেনো এটা লিখলাম? কারণ ছাত্রদের আন্দোলন এখন গণপিটুনি,অত্যাচার, মৃত্যু, ছাত্রদের জীবন এখন হুমকিতে পরিণত হয়েছে । শুরুতে আন্দোলন স্বাভাবিক থাকলেও এখন বিষয়টা উল্টো ছাত্রদের ওপর অমানবিক অত্যাচার করা হচ্ছে।’
এরপর লেখেন, ‘ভাই ছাত্ররা আগামীর ভবিষ্যৎ। ওদের জীবনের মূল্য অনেক। আন্দোলনের জন্য নিজের জীবন নষ্ট করার কোনো মানে নেই। পরিবারের কথা ভাবা উচিত। আন্দোলনকে এখন শুধু ব্যবহার করা হচ্ছে রাজনীতি ষড়যন্ত্রের স্বার্থে। আর ছাত্ররা মার খাচ্ছে,জীবন বিসর্জন দিচ্ছে।’
সবশেষে এ নায়িকা লেখেন, ‘ছাত্র আন্দোলন এখন রাজনীতি ষড়যন্ত্রের মুখে। ছাত্রদের শুধু ব্যবহার করা হচ্ছে। সুতরং মার না খেয়ে ধৈর্য ধরে আন্দোলনের দাবি আদায় করতে হবে। জয় হোক ছাত্রদের দাবির।’
বিজ্ঞাপন
ক্যারিয়ারে আলোচিত কোনো সিনেমা নেই শিরিন শিলার। যেকটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে সেগুলোর দিকে ফিরেও তাকাননি দর্শক। ফলে শোবিজের বাইরে বেশিরভাগ দর্শক জানতেনই না যে তিনি চিত্রনায়িকা।
বছর খানেক আগে একটি সিনেমার শুটিংয়ে ভক্ত পরিচয়ে এক মানসিক প্রতিবন্ধী জড়িয়ে ধরে চুমু দেন শিলাকে। বিষয়টি সেসময় বেশ চর্চায় আসে। এটি যেন শিরিন শিলার জন্য আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়ায়। মুহূর্তেই অখ্যাত থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচিত হয়ে ওঠেন তিনি।