বাপ্পি লাহিড়ীর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে উপমহাদেশের সংগীতের বর্ণাঢ্য এক অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি হলো। দীর্ঘ ৫০ বছরের ক্যারিয়ারে তিনি উপহার দিয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় গান। বাংলা কিংবা হিন্দি— সব গানেই ছিলেন সমান পারদর্শী।
বলিউডের রক ও ডিস্কো মিউজিকের প্রবর্তক তিনিই। সংগীতের সঙ্গে বাপ্পির প্রেম খুব ছোটবেলা থেকে।
বাপ্পি ছিলেন বলিউডের— গোল্ডম্যান। গয়না পরতে ভালোবাসতেন তিনি। গান প্রথম ভালোবাসা হলেও সোনার গয়নার প্রতি ছিল অকৃত্রিম দুর্বলতা। তার জুয়েলারি কালেকশন যেকোনো গয়নাপ্রেমীর কাছে ঈর্ষণীয়। কখনও সোনার হার, ব্রেসলেট কিংবা আংটি ছাড়া দেখা যায় না তাকে। অনেকে ভেবে থাকেন, শো-অফ করতেই তিনি এসব গয়না পরতেন।

আসলে ঠিক তা নয়। জীবদ্দশায় বাপ্পি সমালোচকদের ভুল ভাঙিয়ে দিয়েছেন। জানিয়েছেন, ‘দ্য কিং অব রক অ্যান্ড রোল’ এলভিস প্রিসলির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তিনি সোনার গয়না পরতে শুরু করেন।
ভারতীয় একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাপ্পি বলেছিলেন, ‘হলিউডের গায়ক এলভিস প্রিসলি সোনার হার পরতেন। আমি প্রিসলির বড় ভক্ত ছিলাম। ভাবতাম, যদি কোনোদিন সফল হই তাহলে নিজের অন্যরকম ভাবমূর্তি গড়ে তুলব। ঈশ্বরের আশীর্বাদে সোনার মাধ্যমে সেটা করতে পেরেছি। আগে লোকে ভাবত, আমি সবাইকে দেখানোর জন্যই সোনার গয়না পরি। কিন্তু সেটা ঠিক না। সোনা আমার কাছে পয়া। আমার এগিয়ে যাওয়ার সাহস।’
বিজ্ঞাপন

১৯৫২ সালের ২৭ নভেম্বর জলপাইগুড়িতে জন্ম বাপ্পি লাহিড়ীর। বলিউডের রক ও ডিস্কো মিউজিকের প্রবর্তক তিনিই। সংগীতের সঙ্গে বাপ্পির প্রেম খুব ছোটবেলা থেকে। মাত্র তিন বছর বয়সে তবলা বাজানো শেখার শুরু। ১৭ বছর বয়সে গানের জগতে পথ চলা শুরু করেন এই কিংবদন্তি সংগীতজ্ঞ।
১৯৭২ সালে বাংলা ছবিতে হাতেখড়ি হয় বাপ্পির। ঠিক তার পরের বছরই বলিউডে প্লেব্যাক করেন তিনি। তবে তার গান নজরে আসে তাহির হুসেন পরিচালিত ‘জখমি’ সিনেমায়। বাকিটা তো ইতিহাস।
আরএসও

