দরিদ্র কেউ বিত্তশালী হলে ভুলে যান নিজের অতীত। তবে শাহরুখ খানের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম দেখা যায়। বলিউডে পা রাখার আগের জীবন দারিদ্রতার সঙ্গে পাড়ি দিতে হয়েছে এই অভিনেতাকে। সেসব প্রায়ই বলেন তিনি। গণমাধ্যমকেও সেই কষ্টের গল্প থেকে বঞ্চিত করেন না এই তারকা।
তবে সেই স্মৃতিগুলো যে এত বেদনার হতে পারে, তা কেউ ভাবেননি। এক সংবাদমাধ্যমের নিকট শাহরুখ তার অতীতের ঝাঁপি খুলেছিলেন। সেখানেই জানা যায়, অর্থাভাবে পড়ালেখা বন্ধ হতে বসেছিল এই অভিনেতার।
বিজ্ঞাপন
শাহরুখ বলেন, ‘একবার আমার স্কুলের বেতন বাকি পড়েছিল। টাকার অভাবে বাবা-মা বেতন দিতে পারছিলেন না। কিন্তু এটা মেনে নেয়নি স্কুল। জানিয়েছিল, বেতন বাকি রাখলে আমাকে বের করে দেওয়া হবে। মা-বাবা তোষকের নিচে কিছু টাকা জমিয়েছিলেন। সেই টাকা দিয়ে তারা আমার স্কুলের বেতন পরিশোধ করেন।’
তবে এটুকু বলেই শাহরুখ তার সেই কষ্টের ঝাঁপি বন্ধ করেননি। নিজের বাবা সম্পর্কে জানিয়েছেন আরও বেদনাদায়ক কথা। অর্থাভাবে পিতার চিকিৎসা করাতে পারেননি এই তারকা। বাবার চিকিৎসার জন্য ২০টি দামি ইনজেকশন প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সেগুলো কেনার মতো অর্থ তার কাছে ছিল না। এমন সময় শাহরুখের পাশে দাঁড়ান এক প্রবাসী। তিনি তাকে ইনজেকশন কিনে দেন। সেই আটটির পর আর ইনজেকশন জোটেনি বাবার কপালে।
বিষয়টি এখনও পোড়ায় এই সুপারস্টারকে। অর্থাভাবে বাবার চিকিৎসা করাতে পারেননি— আজও মেনে নিতে পারেন না তিনি।
সেকথা উল্লেখ করে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আজও জানি না বাবার আয়ু ফুরিয়েছিল নাকি চিকিৎসার অভাবে তিনি মারা গেছেন।’
বিজ্ঞাপন
সেদিন এখন অতীত। শাহরুখকে বাদশাহ বানিয়েছে বলিউড। দিয়েছে বাদশাহর সমপরিমাণ অর্থবিত্ত। কিন্তু তারপরও তিনি মাঝে মাঝে ফিরে যান অতীতে। মনে করেন নিজের সেই দুঃখ-কষ্টের দিনগুলো। পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘আমি অভাবে বড় হয়েছি। তাই টাকার মূল্য আমার চেয়ে ভালো কেউ বোঝে না।’
সম্প্রতি এই তারকা বেশ খোশমেজাজেই আছেন। কেননা, তার কন্যা সুহানা খানের অভিষেক ঘটেছে বলিউডে। ইতোমধ্যেই কন্যার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুভকামনা ও কিছু উপদেশ রেখেছেন তিনি।
আরআর/আরএসও