দশ দিন হলো হাসপাতালের বিছানায় অচেতন অভিনেত্রী রিশতা লাবনী সীমানা। জ্ঞান ফেরেনি তার। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রেখেও শারীরিক অবস্থার হচ্ছে না উন্নতি। এরইমধ্যে তাকে স্থানান্তর করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ)। সেখানে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে অভিনেত্রীকে।
এদিকে মায়ের এই অবচেতন অবস্থা মানতে নারাজ আট বছরের ছেলে আকাইদ সাজ্জাদ শ্রেষ্ঠ। মায়ের বুকে মাথা রেখে ঘুমাতে ছটফট করছে সে। কিন্তু মা তার চোখ খুলছেন না। এ অবস্থায় ছোট প্রাণের অব্যক্ত যন্ত্রণা রূপ নিয়েছে চিৎকারে। মাঝে মাঝেই চিৎকার করে কাঁদছে শ্রেষ্ঠ।
বিজ্ঞাপন
সংবাদমাধ্যমকে এ খবর জানিয়েছেন সীমানার ছোট ভাই এজাজ বিন আলী। তিনি বলেন, বারবার মায়ের কাছে ফিরতে চাইছে । মা কেন চোখ খুলছে না। কেন কথা বলছে না। কখন মায়ের বুকে ঘুমাতে পারবে—এসব প্রশ্ন আট বছর বয়সী ছেলে শ্রেষ্ঠর। মায়ের জন্য ক্ষণে ক্ষণে চিৎকার করে কাঁদছে। এমন চিৎকারের কান্না পরিবারের কেউ সহ্য করতে পারছেন না। সবাই তার মায়ের সুস্থতার জন্য দোয়া করছেন।
বুধবার (২৯ মে) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় সীমানাকে। সেখানে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে অভিনেত্রীকে। এরইমধ্যে জটিল আকার ধারণ করেছে কিডনি সমস্যা। সমস্যা আরও বাড়ছে বলে জানান এজাজ।
এর আগে সীমানা চিকিৎসাধীন ছিলেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে। সেখান থেকে পিজিতে আনার কারণ ব্যাখ্যা করে সীমানার ভাই এজাজ বলেছিলেন, ‘মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে শনিবার সার্জারি করা হয়। তার পর থেকেই আপু হাসপাতালের আইসিইউতে রয়েছে। কিন্তু এখনো জ্ঞান ফেরেনি। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসকেরা জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে। তাঁদের আর করার কিছু নেই।’
স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন সীমানা। এরপরই ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। সামাজিক মাধ্যমে খবরটি জানিয়েছিলেন সীমানার প্রাক্তন স্বামী কণ্ঠশিল্পী পারভেজ সাজ্জাদ। তিনি লিখেছিলেন, ‘হে পরম করুণাময়, আপনি সর্বশক্তিমান, আপনি সব পারেন। আমার সন্তানকে এত বড় কঠিন পরীক্ষার মধ্যে ফেলবেন না। শ্রেষ্ঠর মায়ের (সীমানা) অপারেশন চলছে। ম্যাসিভ স্ট্রোক করেছে ৬ দিন আগে।’
বিজ্ঞাপন
সীমানা লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার ২০০৬ আসরের সেরা দশের একজন। ২০১৪ সালে বিয়ের পর মিডিয়া থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। পারভেজ ও সীমানার ঘরে একটি ছেলে আছে।

