বৃহস্পতিবার, ২ মে, ২০২৪, ঢাকা

এ ঈদে আমাকে কেউ কিচ্ছু দেয়নি: ফারিন খান 

রাফিউজ্জামান রাফি
প্রকাশিত: ১০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০১ পিএম

শেয়ার করুন:

এ ঈদে আমাকে কেউ কিচ্ছু দেয়নি: ফারিন খান 
দুয়ারে কড়া নাড়ছে ঈদ। আমেজ ছড়িয়ে গেছে সবখানে। উদযাপনের জন্য প্রস্তুত সবাই। শোবিজ অঙ্গনের মানুষজনও তার ব্যতিক্রম নন। শত ব্যস্ততার মাঝে তাদেরও রয়েছে ঈদ পরিকল্পনা। এবারের ঈদ পরিকল্পনা নিয়ে ঢাকা মেইলের সঙ্গে কথা বলেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ফারিন খান। 

তিনি বলেন, ‘আমি একটি এতিমখানার সঙ্গে সম্পৃক্ত আছি। ঈদের দিন ওখানে সময় দেব। ওদের সঙ্গে দুপুরের খাবার খেয়ে বাসায় আসব। এরপর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটাব। আমার বাসা তো সাভারে। আত্মীয় স্বজন সব এখানে। তাদের সঙ্গে সময় কাটাব। ঈদের পরের দিন রেখেছি আমার মিডিয়ার সহকর্মীদের জন্য। ওইদিন তাদের সবার সঙ্গে সময় ভাগ করে নেব। এছাড়া নিজের অনেকগুলো কাজ বের হচ্ছে এবার। সেগুলো বসে দেখব ও ফেসবুকে পোস্ট করব।’


বিজ্ঞাপন


432754472_18303148612144576_1418093724901423882_n

ব্যাটারির গলির ক্রাশ জানান, ‘এ ঈদে সবার জন্য গিফট কিনেছেন। তিনি বলেন, আমি আমার পরিবারের সবাইকে ঈদে উপহার দিয়েছি এবার। তাতে সব মিলিয়ে এক থেকে দেড় লাখ টাকার গিফট কিনতে হয়েছে। পরিবারে যে যে আছে বলতে পারেন চোদ্দগোষ্ঠীকে ঈদ উপহার দিয়েছি এবার।’

তবে ফারিন সবাইকে দিলেও এবার ঈদে তাকে কেউ কিছুই দেয়নি। তাই ঠোঁট ফুলিয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘এ ঈদে আমাকে কেউ কিচ্ছু দেয়নি। সবাই বলে, আমি নাকি বড় হয়ে গেছি। আমার নাকি গিফট নেওয়ার বয়স নেই। শুধু এক আপু একটি পোশাক দিয়েছেন।’

অভিনেত্রীর মতে ছোটবেলার ঈদ ভালো ছিল। উপহারে উপচে যেত দুই হাত। এমনটা উল্লেখ করে বলেন, ‘ছোটবেলার ঈদ অনেক ভালো ছিল, আনন্দের ছিল। আমি আমার নানুবাড়ির একমাত্র মেয়ে ছিলাম। অনেক গিফট পেতাম। মামা-খালারা দিতেন। কিন্তু এখন আর কেউ দেয় না। উল্টো তারা আমার কাছ থেকে গিফট নেন। এ বছর কোনো গিফটই পেলাম না।’


বিজ্ঞাপন


425744746_3747607002138056_6023748226957911348_n

ছোটদের ঈদ রঙিন হয়ে ওঠে বড়দের দেওয়া সালামিতে। সালামি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে উঠে আসে ফারিনের ছোট খালুর কথা। তিনি বলেন, ‘আমার ছোট খালামনির স্বামী বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি করতেন। ওই খালু আমাকে প্রতি ঈদে সালামি বাবদ ৫০০ টাকা দিতেন। সেকারণে ঈদের দিন ঘুম থেকে উঠেই খালার বাসায় যেতাম। যতক্ষণ না খালু নামাজ পড়ে আসতেন ততক্ষণ বসে থাকতাম। কিন্তু খালু এখন আর বেচে নেই। তিনি মারা যাওয়ার পর থেকে আমি আর সালামি পাইনি।’

বড়বেলার ঈদের আনন্দটা কেমন জানতে চাইলে এতক্ষণ দুষ্টুমি করে কথা বলা ফারিনও যেন বড় হয়ে যান। তিনি বলেন, ‘বড়বেলার ঈদের আনন্দটা অন্যরকম। যেমন আমার কথাই ধরুন। এবারের ঈদ আমার জন্য কয়েকটি কারণে বিশেষ। এরমধ্যে একটি হলো, আমি একটি এতিম খানার সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। এ বছরই যাত্রা শুরু হয়েছে সেটির। ওখানকার শিশুদের সবাইকে পোশা্কাদি কিনে দিয়েছি। একেকজনকে পাঁচ শ টাকা করে সালামি দিয়েছি।’

435421969_10232061925957122_5231275076448674182_n

অন্য কারণ উল্লেখ করে অভনেত্রী বলেন, ‘কাজে ফেরার পর এবারই প্রথম অনেকগুলো নাটকে অভিনয় করেছি। ওই টাকা দিয়ে সবাইকে কমবেশি কিছু দেওয়ার চেষ্টা করেছি। ঈদের সারাদিন বসে কাজগুলো দেখতে পারব। আমার শুভাকাঙ্ক্ষীরাও এতে বেশ সন্তুষ্ট। আরও একটি কারণ হচ্ছে এবার প্রথম পরিবারের সবাইকে কিছু না কিছু দিয়েছি। মিডিয়ার পরিবারকেও দিয়েছি। বিশেষ করে আমার ইউনিটের, প্রোডাকশনের যারা অ্যাছেন তাদের কমবেশি দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’

তবে সবাইকে দুহাতে দিলেও নিজের জন্য এখনও কিছু হাতে তোলেননি ফারিন। গতকাল বুধবার কথোপকথনের সময় জানালেন, এখনও কিছু কেনা হয়নি। ইচ্ছা আছে কিছু কেনাকাটার। 

435494290_3792730250959064_8254771031057452318_n

এবার সাতদিনের ঈদে প্রতিদিনই পর্দায় দেখা যাবে ফারিনকে। কেননা সাতদিনের ঈদ আয়োজনের আটটি নাটক প্রচারিত হবে তার। এরমধ্যে ‘সুইচ’, ‘রূপবান’, ‘আজাইরা কোটা’, ‘হ্যাপি ওয়েডিং’ উল্লেখযোগ্য। 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর