রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

এই কারণে গর্ভধারণে রাজি ছিলেন না কারিনা

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২ মে ২০২২, ১১:৩৪ এএম

শেয়ার করুন:

এই কারণে গর্ভধারণে রাজি ছিলেন না কারিনা

সন্তান ধারণের সময় নারীর শরীরে বেশকিছু পরিবর্তন আসে। ত্বকের লাবন্য ফিকে হয়ে যায়। দেহে জমে অনাকাঙ্ক্ষিত মেদ। স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতেও লাগে অনেকটা সময়। একারণে শোবিজ অঙ্গনের নারীদের গর্ভধারণে রয়েছে বেশ অনীহা। কেননা, এতে ক্যারিয়ার পড়তে পারে হুমকির মুখে। তাই ভরা ক্যারিয়ারে তারা কখনও ওমুখো হতে চান না।

একই কারণে কারিনা কাপুরও দ্বিতীয় সন্তান গর্ভে ধারণ করতে নারাজ ছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন অন্য পথে হাঁটতে। নিজের গর্ভে নয়, অন্যের গর্ভ ভাড়া করে সন্তান চেয়েছিলেন তিনি। তেমনটাই জানিয়েছিলেন সাইফ আলী খানকে।


বিজ্ঞাপন


kareena kapoor

কিন্তু সারোগেসি পদ্ধতিতে সন্তান জন্মের পক্ষপাতী ছিলেন না সাইফ। সেকথাই কারিনাকে বুঝিয়ে বলেন নবাবপুত্র। তিনি বলেছিলেন, ‘বিষয়টা যেহেতু নিজেদের দ্বারা সম্ভব তবে চেষ্টা করতে ক্ষতি কী? সমস্যা হলে না হয় অন্য পথ দেখা যাবে।’

সাইফের এমন উপদেশ কাজে লেগেছিল। শেষমেশ আর বেঁকে বসেননি কারিনা। ফলে তার দ্বিতীয় পুত্র জেহকে দীর্ঘ দশ মাস দশদিন পরের গর্ভে বেড়ে উঠতে হয়নি। মায়ের গর্ভেই নড়েচড়ে পরিপক্ক হয়েছে সে।

তবে অনেকের ধারণা, ছেলেকে অযথা নিজের পেটে ধরতে অনীহা ছিল না এই অভিনেত্রীর। নেপথ্যে ছিল কিছু কারণ। প্রথম সন্তান জন্মের সময় মুটিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সন্তান জন্মের পর ছন্দে ফিরতে বেশ ঘাম ঝরাতে হয়েছিল তাকে। সেসময় কাজ থেকেও কারিনাকে দূরে থাকতে হয়েছিল অনেকদিন।


বিজ্ঞাপন


kareena kapoor

এসব বিড়ম্বনা এড়িয়ে চলতেই হয়ত এমন সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছিলেন কারিনা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, এর সঙ্গে আরও একটি কারণ যোগ করছেন কেউ কেউ। তা হলো, দ্বিতীয় সন্তান গর্ভে আসার সময়  এই নায়িকা ব্যস্ত ছিলেন আমির খানের লাল সিং চাড্ডা সিনেমার কাজে। এমন সময় সন্তান গর্ভে এনে কাজে ব্যাঘাত ঘটাতে চাননি তিনি। সেজন্যই না কি ঘরের ছেলেকে পরের পেটে দিতে চেয়েছিলেন এই তারকা।

তবে শেষমেশ আর তা হয়নি। জেহ বেড়ে উঠেছেন কারিনার গর্ভেই। তবে ভাগ্য ভালো ছিল কারিনার। কারণ সেসময় বিশ্বব্যাপী চলছিল করোনা ভাইরাসের প্রকোপ। ভারতে চলমান ছিল সরকার ঘোষিত লকডাউন। জেহর জন্মও সেসময়। ফলে লাল সিং চাড্ডার কাজে ব্যাঘাতের দোষ করোনা মহামারির কাঁধেই পড়েছে। কারিনাকে আর সে দোষের ভাগ নিতে হয়নি।

আরআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর