ফেলে আসা শৈশবের কিছু গল্প থাকে রমজানের ঘ্রাণমাখা। ঘুম ভেঙে সেহেরি খাওয়া দিয়ে শুরু হতো দিন। ক্লান্ত শরীর টেনে ইফতারের টেবিলে বসার মধ্য দিয়ে হতো শেষ। এরমধ্যে এমন কিছু ঘটনা ঘটত যা মনে রাখার মতো। বছর ঘুরে পবিত্র এই মাসটি ফিরে আসার সময় সঙ্গে করে নিয়ে আসে সেসব।
বিজ্ঞাপন
ঢাকা মেইলের কাছে শৈশবের রোজা নিয়ে স্মৃতিচারণ করলেন ঢালিউডের জনপ্রিয় নায়ক সাইমন সাদিক। তিনি বলেন, ‘রোজা আমার কাছে বিশেষ। যখন ছোট ছিলাম তখন রোজা হতো শীতকালে। নব্বই দশকের কথা। সেহেরিতে প্রচুর শীত পড়ত। যাতে না উঠতে হয় সেজন্য আগেই খেয়ে শুয়ে পড়তাম।’
যৌথ পরিবারের সন্তান ছিলেন সাইমন। তাদের বাড়িতে দুপুর থেকেই শুরু হতো ইফতার তৈরি। এরকম উল্লেখ করে জনপ্রিয় এ নায়ক বলেন, ‘আমি যৌথ পরিবারের সন্তান। দুপুর থেকেই বাড়িতে ইফতার বানানো শুরু হতো। তখন ছোট ছিলাম, বুঝতাম না। ইফতার বানানো দেখে লোভ সামলাতে পারতাম না। লুকিয়ে লুকিয়ে নিয়ে খেতাম আর বলতাম রোজা আছি।’
ছোটদের রোজা রাখায় বরাবরই আপত্তি থাকে বাবা-মায়ের। বিভিন্নভাবে শিশুদের রোজা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করেন তারা। সাইমন বলেন, ‘আমার সঙ্গেও এটা হতো। ছোটবেলায় রোজা রাখলে আমার দাদি বলতেন, যোহর ওয়াক্তে খেলে একটি রোজা হবে আর আসর ওয়াক্তে খেলে দুটি রোজা হবে।’
বিজ্ঞাপন
এখন সাইমন বাবা হয়েছেন। সন্তান রোজা রাখে তার। বাবা-মায়ের অনুভূতিটা এখন বুঝতে পারেন। উপলব্ধি করেন রোজার আনন্দ। তিনি বলেন, ‘গতবার আমার বড় ছেলে প্রথম রোজা রাখে। সে সারাদিন রোজা রেখে আসরের সময় কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছিল। পানি খেতে পাগল হয়ে গিয়েছিল। আমি তখন বললাম এটাই রোজা। শেষ পর্যন্ত রোজা রেখেছিল সে। এবার বলছে সবগুলো রাখবে। এটাই আনন্দ।’
সম্প্রতি রেজা ঘটকের ‘ডোডোর গল্প’ সিনেমার কাজ শেষ করেছেন সাইমন। নাম লিখিয়েছেন ‘ফ্রিল্যান্সার’ নামের নতুন এক ছবিতে। ছবিটি নির্মাণ করবেন মিজানুর রহমান মিজান। শিগগিরই জ্বলে উঠে এ সিনেমার ক্যামেরা, লাইট।