রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

পুরুষের চোখে নারী দিবস

‘দেড়-দুই শ মেয়ে সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যাচ্ছে, এটি বড় পাওনা’ 

বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮ মার্চ ২০২৪, ০১:৩৯ পিএম

শেয়ার করুন:

‘দেড়-দুই শ মেয়ে সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যাচ্ছে, এটি বড় পাওনা’ 

আজ ৮ মার্চ বিশ্ব নারী দিবস। এক শতাব্দী ধরে দিনটি পালিত হচ্ছে বিশ্বজুড়ে। শুরুতে পশ্চিমা দেশগুলোতে হলেও আজকাল বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশে নারীরাও এ দিন উদযাপন করে থাকেন বেশ আয়োজন করে। তবে দৃষ্টিতে নারী দিবস নিয়ে পুরুষের ভাবনা কী— জানতে যোগাযোগ করা হয় দেশের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক রিয়াজের সঙ্গে। 

ঢাকা মেইলকে রিয়াজ বলেন, ‘আমার কন্যা, স্ত্রী একজন নারী। মা-ও ছিলেন নারী। নারী থেকেই সবকিছুর উৎপত্তি। নারীর প্রতি রয়েছে আমার অগাধ শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, বিশ্বাস। বিশ্বের যা কিছু অর্জন তার পেছনে নারীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে বাংলাদেশ তথা সকল নারীর প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।’


বিজ্ঞাপন


প্রতি বছর এই দিনে শিক্ষিত ও সচেতন নারী সমাজ বেশ আয়োজন করে নারী দিবস পালন করে থাকে। দেওয়া হয় বিভিন্ন রকম সচেতনতামূলক বার্তা। সেই বার্তা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর খেটে খাওয়া নারীর কাছে প্রয়োজনের তুলনায় কম পৌঁছায় বলে মনে করেন এ অভিনেতা। 

তিনি বলেন, ‘আগে এতটা পৌঁছাত না। এখন প্রযুক্তির কল্যাণে আগের চেয়ে বেশি পৌঁছাচ্ছে। এটা পর্যাপ্ত নয় বলে মনে হয় আমার। তবে গ্রামগঞ্জে আমি শুটিংয়ে গিয়ে সেখানকার নারীদের দেখে বেশ আশাবাদী হয়েছি। উদাহরণস্বরুপ সাতক্ষীরার একটি প্রত্যন্ত গ্রামের কথা বলি। দেখেছিলাম সেখানে প্রায় দেড়-দুই শ মেয়ে সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যাচ্ছে। এই দৃশ্যটি আমার কাছে দেশের জন্য বড় একটি পাওনা বলে মনে হয়েছে। এটি বলে দেয় নারীরাও পিছিয়ে নেই আমাদের দেশে। হয়তো শহরের মতো আনুষ্ঠানিকতা হচ্ছে না কিন্তু ভেতরে ভেতরে ঠিকই ছড়িয়ে যাচ্ছে।’  

সময়ের সঙ্গে দৃশ্যপট বদলেছে। ঘরে-বাইরে পুরুষের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছেন নারীরা। তবে সামাজিক মাধ্যমে বেড়ে নারীর প্রতি জিঘাংসা, কটাক্ষ। বিষয়টি নারীর এই অগ্রগতিকে কী দুর্গম করে তুলছে না? রিয়াজ এজন্য দায়ী করেন সামাজিক মাধ্যমের সহজলভ্যতাকে। 

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে সামাজিক মাধ্যমে যারা আছেন আমি মনে করি এই সুবিধাটা অনেক সহজে পাচ্ছেন তারা। এতে করে যে যেটা বোঝে না, যার যেটা বলা উচিত না সেটা বলছে ও করছে। যেটা একেবারেই অনুচিত। সোশ্যাল মিডিয়ায় আজকাল দেখা যাচ্ছে নিজেকে ভাইরাল বানাতে নানারকম কুরুচিপূর্ণ সংস্কৃতির চর্চা হচ্ছে। এখানে কেউ যদি একজন নারীকে গালি দিয়ে আত্মতুষ্টি পায় সেটি এক ধরনের মানসিক রোগ বলে মনে হয় আমার কাছে।’ 


বিজ্ঞাপন


তবে রিয়াজ মনে করেন সোশ্যাল মিডিয়ার ইতিবাচকও আছে নারীর এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে। তার মতে আগে যে ঘটনাগুলো ঘটত শিশু নারী নির্যাতন সেগুলো এখনও ঘটছে। তবে এখন আর খবরগুলো চাপা থাকে না। সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে প্রতিবাদও হচ্ছে, সচেতনতা বাড়ছে। এটি একটি ইতিবাচক দিক বলে মনে করছেন তিনি। 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর