শোবিজের তারকারা যেখানে যান সেখানেই জনসমাগম তৈরি হয়। আর সেই তারকা যদি হন শাহরুখ খান, তাহলে তো কথাই নেই। জনসমাগম পরিণত হয় জনসমুদ্রে। কখনও কখনও পরিস্থিতি চলে যায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তাতেই বাধে বিপত্তি।
পাঁচ বছর আগে এমনই এক বিপত্তি বেধেছিল শাহরুখের কারণে। নিহত হয়েছিলেন এক শাহরুখ অনুরাগী। মৃত্যুর দায় এসে চেপেছিল কিং খানের কাঁধে।
বিজ্ঞাপন
ঘটনাটি ২০১৭ সালের। সেবার শাহরুখ ‘রইস’ সিনেমার প্রচারণায় ছিলেন। একটু অন্যভাবে করতে চেয়েছলেন প্রচারণাটা। এজন্য তিনি বেছে নিয়েছিলেন ট্রেন। ভেবেছিলেন টানা ১৭ ঘণ্টা ট্রেনে চেপে মুম্বাই থেকে দিল্লি যাবেন। পথে বিনা নোটিশে নেমে যেবেন বিভিন্ন স্টেশনে। তাক লাগিয়ে দেবেন অনুরাগীদের। তাদের মাঝে একদম মিশে যাবেন তিনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী সেরকমই করছিলেন শাহরুখ। কিন্তু অঘটনটা ঘটে ভাদোদারা ষ্টেশনে এসে।
আচমকা কিং খানকে দেখে টাল সামলাতে পারেননি সেখানকার অনুরাগীরা। নিজেদের মাঝে প্রিয় নায়ককে পেয়ে উত্তেজনা বেড়ে যায় তাদের। ফলে পরিস্থিতি চলে যায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ভিড় সামলাতে শেষমেশ পুলিশ লাঠিচার্জ করে। সেই ভিড়ে ফরিদ খান নামক এক যুবক পড়ে যান। পায়ের তলে পৃষ্ঠ হন তিনি। হাসাপাতালে নিতে না নিতেই মৃত্যু হয় তার।
ঘটনা ঘটতেই সমালোচকরা বাক্যবাণে জর্জরিত করতে থাকেন শাহরুখকে। ফরিদ হত্যার দায়ও বর্তায় তার কাঁধে। তার নামে ফৌজদারি মামলা করে নিহতের পরিবার। মামলাটি হয় গুজরাটের ভাদোদারার নিম্ন আদালতে।
বিজ্ঞাপন
পাঁচ বছর ধরে সেই দায় কাঁধে নিয়ে ঘুরছিলেন এই অভিনেতা। সম্প্রতি তার অবসান ঘটল। ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যম জানায়, এতদিনে সে মামলার রায় হয়েছে। মামলাটি খারিজ করে দেয়া হয়েছে হাইকোর্ট থেকে। সেই সঙ্গে স্বস্তি নেমে এসেছে কিং খানের মনে। পাঁচ বছর পর এক অনাকাঙ্ক্ষিত কলঙ্ক থেকে মুক্তি পেলেন তিনি।
সম্প্রতি এমনিতেই অস্বস্তিতে আছেন শাহরুখ। বিভিন্ন স্থানে নিজে ঢেকে পথ চলছেন তিনি। কাউকে নিজের মুখ দেখাচ্ছেন না। এমনটার কারণও কাউকে বলছেন না তিনি। ফলে সামাজিক মাধ্যমে তাকে হতে হচ্ছে ট্রলের শিকার। এমন গুমোট পরিবেশে এ খবর যেন আসলেই স্বস্তিদায়ক।
আরআর/আরএসও