নারীদের পীর হওয়ার সুযোগ নেই, এই সুযোগ থাকলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিজের পীর হিসেবে ঘোষণা দিতেন বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম।
রোববার (১২ নভেম্বর) রাতে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ আয়োজিত উঠান বৈঠকে তিনি এই কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানে মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মমতাজ শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, মানুষ তো বলে, নারীরা পীর হতে পারে না। এ জন্য নারীদের কাছে কেউ মুরিদ হয় না। যদি এই সিস্টেম থাকত, আমি ঘোষণাই দিয়ে দিতাম যে, আমার পীর, আমার আইডল, আমার সবকিছু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যে মানুষটাকে আমার কাছে থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। যে মানুষটা সততা-নিষ্ঠার সঙ্গে এ দেশের মানুষের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করছেন। আমি যদি ওই রকম একটা মানুষ হতে পারি, আমার জীবনে আর কিছু লাগবে না। এটাই আমি মনে করি।

এই কণ্ঠশিল্পী বলেন, আমি বললাম, নেত্রী, আমার তো অত টাকা-পয়সা নাই, গানটান করে কামাই করি, তাই দিয়ে নিজে খাই-নিজে চলি, নিজে কিছু কাজকাম করি, যতটুকু পারি মানুষের পাশে...ওটা আসলে অত বড় কিছু না। আমি তো শিল্পপতি না। সততা-নিষ্ঠার সঙ্গে চলার চেষ্টা করি। আমাকে তিনি আবার বললেন, শোনো, সততা আর নিষ্ঠার একটা মূল্য আছে। হাজার কোটি টাকা তোমার বিপক্ষে গিয়ে কোনো মানুষ ভাঙে (খরচ করে), তোমার সততা-নিষ্ঠার কাছে ভেসে চলে যাবে।
এলাকাবাসীর উদ্দেশে মমতাজ বলেন, আমি আপনাদের অনেক ভালোবাসি। আপনারাও আমাকে অনেক ভালোবাসেন। আর এই কাথাটা শেখ হাসিনা জানেন। আমি জানি না কীভাবে জানেন। আমাকে কয়দিন আগেও বলেছেন, শোনো, তোমাকে একটা কথা বলি, তোমাকে সাধারণ মানুষ ও মা-বোনরা অনেক ভালোবাসেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তোমার কিচ্ছু লাগবে না, আমি খালি মনোনয়ন দেব আর তুমি শুধু সাধারণ মানুষ-নারীদের কাছে যাবে। দেখবে তোমার বাক্সভর্তি নৌকা।
বিজ্ঞাপন
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ইজ্জত আলীর সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান শহিদ, পৌর মেয়র আবু নাঈম মো. বাশার, জেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারা খাতুন, চান্দহর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল হক মঞ্জু প্রমুখ।
জেবি