স্ত্রীর অপমান সইতে না পেরে অস্কারের ভরা আসরে চড় মেরেছিলেন ক্রিস রককে। শুরু থেকেই এমনটা বলে আসছিলেন অভিনেতা উইল স্মিথ। স্ত্রী জাডার পাশে এভাবে দাঁড়ানোয় বিশ্ববাসীর বাহাবাও পেয়েছিলেন তিনি।
এবার বেরিয়ে এলো আসল ঘটনা। জানা গেল, ক্রিসকে ঠিক এই কারণে চড় মারেননি হলিউড অভিনেতা স্মিথ। অন্য কারণ লুকিয়ে আছে এর পেছনে।
বিজ্ঞাপন
ক্রিস রকের সঙ্গে নাকি বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে জাডার। এ নিয়ে আগে থেকেই রকের ওপর স্মিথের ক্ষোভ ছিল। স্ত্রীকে নিয়ে তামাশা করতে দেখে সেই ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে। তেড়ে গিয়ে মেরে বসেন ক্রিসের গালে এক চড়।
তবে প্রিয় পাত্রকে চড় খেতে দেখে মোটেও সন্তুষ্ট নন জাডা। তার ফলাফল নাকি ক্রমেই ভয়ানক রূপ ধারণ করছে। এমন তথ্য জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি ম্যাগাজিন। ম্যাগাজিনটি জানায়, এই ঘটনার পর থেকেই সম্পর্কে ভাঙন ধরেছে উইল স্মিথ ও জাডা পিঙ্কেটের। দুরত্বটা তাদের ক্রমশই বাড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে বিচ্ছেদ হওয়া নাকি সময়ের ব্যাপার মাত্র।
জাডার সাথে রক ‘মাদাগাস্কার’ নামক একটি সিনেমায় কাজ করেছিলেন। সম্পর্কের সূত্রপাত নাকি সেখান থেকেই। তাই হয়ত স্মিথ ছুতো খুঁজছিলেন রককে শায়েস্তা করার। তবে রককে শায়েস্তা করতে গিয়ে তাকেও কম শায়েস্তা হতে হয়নি। মানুষজনের কটাক্ষ শুনতে হয়েছে। এমন কেলেঙ্কারির দায়ে অস্কারের আসর থেকে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হতে হয়েছে। পদ হারাতে হয়েছে ‘একাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স’ থেকে।
বিজ্ঞাপন
ধারণা করা হচ্ছে ঘটনা বিচ্ছেদের দিকে গেলে আরও ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে স্মিথকে। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিচ্ছেদ হলে তা ১৫০ মিলিয়নে নেমে আসতে সময় লাগবে না। কারণ বিচ্ছেদের পর স্মিথের মোট সম্পত্তির অর্ধেক মালিকানা লাভ করবেন জাডা পিঙ্কেট।
এই যখন অবস্থা তখন শনিবার (২৩ এপ্রিল) ভারতে দেখা গেছে উইল স্মিথকে। তবে ভারতে তার আসার কারণ এখনও জানা যায়নি। হতে পারে মনের ওপর চাপ কমাতেই তার এই হাওয়া বদল। কিংবা নিজের ভাগ্য গণনার জন্যও আসতে পারেন এই অভিনেতা। ভারতীয় জ্যোতিষীদের সাথে তার নিয়মিত যোগাযোগের কথা তো সবারই জানা।
আরআর