অবশেষে জানা গেছে অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুর মৃত্যুর কারণ। তিনি আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোর্শেদ আলম।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশের একটি দল গেছে। সেখানে হিমুর মরদেহ রয়েছে। সুরতহাল এবং পরিবার ও স্বজনদের বক্তব্যে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে হুমায়রা হিমু আত্মহত্যা করেছেন।’
বিজ্ঞাপন
প্রেমিক রাফির সঙ্গে কয়েকদিন ধরে হিমুর ঝগড়া-বিবাদ চলছিল উল্লেখ করে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘বয়ফ্রেন্ড রাফির সঙ্গে তার বিয়ের কথাবার্তা চলছিল। কয়েকদিন ধরে হুমায়রা হিমুর সঙ্গে রাফির ঝগড়া-বিবাদও হয়েছে। হাসপাতালে হিমুকে ফেলে রাফি পালিয়েছেন। আমরা রাফিকে খুঁজছি। তাকে পেলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে হুমায়রার মৃত্যুর আসল কারণ কী।’
বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে ডিএমপির উত্তরা বিভাগের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি) জ্যোতির্ময় সাহা বলেন, ‘হুমায়রা হিমুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের ২ নং সড়কের হিমু নিজ বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের সময় তার মরদেহ ফ্যানের হ্যাঙ্গারে রশিতে ঝুলে ছিল। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় হুমায়রা হিমুর কথিত বয়ফ্রেন্ড জিয়া উদ্দিন রাফিকে খুঁজছে পুলিশ। তার সঙ্গে হিমুর সম্প্রতি বিয়ের কথাবার্তা চলছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাকে উদ্ধার করে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। পরে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিতে সুরতহাল শেষে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।’
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে হিমুর মরদেহ তার বাসা থেকে উদ্ধার করে উত্তরায় একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিজ্ঞাপন
২০০৫ সালে ছোটপর্দায় নাম লেখান হিমু। অল্পদিনেই লাভ করেন জনপ্রিয়তা। তার অভিনীত নাটকগুলোর মধ্যে ‘বাড়ি বাড়ি সারি সারি’, ‘হাউজফুল’, ‘গুলশান এভিনিউ’ উল্লেখযোগ্য।
চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন হিমু। ২০১১ সালে ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। এ ছবিতে অরু চরিত্রে দেখা যায় তাকে। হিমুর মৃত্যুতে শোক নেমে এসেছে তার সহকর্মীদের মাঝে। সামাজিক মাধ্যমে সেই শোক প্রকাশ করছেন তারা।

