শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

এক সময় ট্রেনের প্ল্যাটফর্মে রাত কাটাতেন অনুপম খের

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর ২০২৩, ০১:৪৭ পিএম

শেয়ার করুন:

এক সময় ট্রেনের প্ল্যাটফর্মে রাত কাটাতেন অনুপম খের

চার দশক ধরে বলিউডে সুনামের সঙ্গে অভিনয় করছেন অনুপম খের। চরিত্রাভিনেতা হিসেবে শক্ত অবস্থান গড়ে নিয়েছেন বি-টাউনে। তবে আজকের এই অবস্থানে আসতে কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি তাকে। এক সময় ট্রেনের প্ল্যাটফর্মে রাত কাটাতে হয়েছে তাকে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ খবর জানিয়েছেন অভিনেতা।

বলিউডে নাম লেখা অনুপম খেরকে ভীষণ সংগ্রাম করতে হয়েছে। দীর্ঘদিন এই সংগ্রাম চালিয়েও মেলেনি ফয়দা। একটা সময় পর মানুষ অনুপমকে জিজ্ঞেস করতে শুরু করেন, মুম্বাইতে তিনি কোনও কাজ পাচ্ছেন কি না।


বিজ্ঞাপন


এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সবাইকে সান্ত্বনা দিতে ভীড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতাম আমি। সঙ্গে থাকত কোনও তারকা অভিনেতার ছবি। সকলের মনে হতো, আমি ওই অভিনেতার সঙ্গে দেখা করেছি। আমার অভিনেতা হওয়ার লড়াইকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য এইভাবেই সান্তনা দিতাম নিজেকে এবং সকলকে। আমার জন্য পরিবারের সদস্যদের চোখে আশা জাগিয়ে রাখতাম। তবে ঠাকুরদার সঙ্গে সবকিছু শেয়ার করতাম আমি। তাকে কাশ্মীরে চিঠি লিখে বলতাম, এভাবে বেঁচে থাকা নরকের মতো।”

এরপর তিনি বলেন, “ঠাকুরদাকে বলতাম, এখানে থাকতে আমার একেবারেই ভালো লাগছে না। সিমলা কিংবা লখনউ বা দিল্লিতে চলে যেতে চেয়েছিলাম। একজন অভিনেতাকে, একজন মানুষকে ক্রমাগত অপমানিত হতে হয়েছে মুম্বাই শহরে। দিনের পরদিন রেলওয়ে প্লাটফর্মে কাটাতে হয়েছে। ১.৪০শে শেষ ট্রেন চলে যাওয়ার পর ঘুমতাম প্ল্যাটফর্মে। ভোর ৪.৪০শে প্রথম ট্রেন আসা পর্যন্ত ঘুমতাম। মনে মনে প্রশ্ন করতাম নিজেকে, কেন এসেছি এখানে? তখনই ঠাকুরদা আমাকে বলতেন, অনেক পরিশ্রম করেছ তুমি। বাবা-মা অনেক কষ্ট করে তোমায় মুম্বাই পাঠিয়েছেন। দেড় বছর ধরে তুমি সেখানেই আছ। সবসময় মনে রাখবে, ভেজা মানুষ বৃষ্টিতে ভয় পায় না। এখনও আমার ঠাকুরদার বলা এই লাইনটা মনে পড়লে শিহরণ জাগে।”

অনুপম ওই সাক্ষাৎকারে আরও জানান, খুব দরিদ্র পরিবারের সন্তান ছিলেন তিনি। ১৪ সদস্যের পরিবার ছিল তাদের। একমাত্র আয়ের উৎস ছিলেন অনুপম খেরের বাবা। তবে পরিবারে অর্থাভাব থাকলেও তারা কেউ কষ্টে ছিলেন না।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর