না ফেরার দেশে চলে গেছেন ঢালিউডের বরেণ্য নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান। তার মৃত্যুতে স্তব্ধ চলচ্চিত্র পাড়া। বাংলাদেশ পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াৎও মুষড়ে পড়েছেন। মৃত্যুর দিন কাজী হায়াতের সঙ্গে শেষ কথা হয় সোহানের।
এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে কাজী হায়াৎ বলেন, ‘বুধবার আমার সঙ্গে সোহানের কথা হয়েছে। সে আমাকে কান্নাকাটি করে বলল, হায়াৎ ভাই, আমার জন্য দোয়া করবেন যেন আমি স্ত্রী হারানোর শোক সইতে পারি। আল্লাহ যেন আমাকে ধৈর্য দেন।’
এরপর কাজী হায়াৎ বলেন, ‘আমি মনে করি সোহান ভাগ্যবান, যে স্ত্রীর শোক খুব বেশি সময় ধরে তাকে সইতে হয়নি। সব ছিন্ন করে তিনিও চলে গেলেন।’
সবশেষে এ নির্মাতা বলেন, ‘সোহানের শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। তিনি একজন কীর্তিমান পরিচালক ছিলেন। পরিচালকরা সাধারণত খ্যাতিমান হন কম, কিন্তু সোহান খ্যাতিমান পরিচালক ছিলেন। তার জন্য সবাই দোয়া করবেন।’
বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান। চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াত ঢাকা মেইলকে এই তথ্য নিশ্চিত করে সন্ধ্যায় জানিয়েছিলেন, সম্ভবত ঘুমের মধ্যে তিনি মারা গেছেন। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ খ্যাত এই চলচ্চিত্র নির্মাতা শিবলি সাদিকের সহকারী হিসেবে তার চলচ্চিত্র কর্মজীবন শুরু করেন। তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘বিশ্বাস অবিশ্বাস’ (১৯৮৮)।
বিজ্ঞাপন
জনপ্রিয় এই নির্মাতার হাত ধরেই চলচ্চিত্রে আসেন সালমান শাহ, মৌসুমী, পপি ও ইরিন জামান। শাকিব খানের মুক্তি পাওয়া প্রথম ছবির পরিচালকও তিনি। সোহানুর রহমান সোহানের উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো- ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ (১৯৯৩), ‘স্বজন’ (১৯৯৬), ‘আমার ঘর আমার বেহেশত’, ‘অনন্ত ভালবাসা’ (১৯৯৯)।

