কয়েকদিন আগে পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী ও সংসদ সদস্য নুসরাত জাহানের বিরুদ্ধে ২৪ কোটি রুপি প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল। তার নামে এ অভিযোগ জমা পড়েছিল ভারতের অর্থনৈতিক গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটেরের (ইডি) দফতরে।
সেসময় নুসরাত বেশ আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলেছিলেন, ইডি তাকে ডাকবে না। কিন্তু এ আত্মবিশ্বাসকে কর্পূরের মতো উড়িয়ে জরুরী তলব করে বসে ইডি। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন নুসরাতের জীবনসঙ্গী যশ দাশগুপ্ত।
বিজ্ঞাপন
এ প্রসঙ্গে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে যশ বলেন, ‘আমি এখন নতুন ছবির কাজে ব্যস্ত। আমার মনে হয় না, এটা সঠিক সময় এই বিষয়ে কথা বলার। সঠিক সময় এলে নিশ্চয়ই সব উত্তর দেব।’
এর আগে বিষয়টি নিয়ে নুসরাত বলেছিলেন, ‘আমি অবশ্যই গিয়ে দেখব। আর এরকম যদি কোনো বিষয় থাকে আমি নিশ্চিতভাবে সহযোগিতা করব। যদি এমন কিছু সত্যিই ঘটে থাকে তাহলে আমি নিশ্চয়ই আমার সাধ্যমতো তদন্তে সহযোগিতা করব।’
আগামী মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি-র দফতরে হাজিরার নির্দেশ দিতে বলা হয়েছে নুসরাতকে। সঙ্গে সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেডের ডিরেক্টর রাকেশ সিংহকেও তলব করা হয়েছে।
সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সংস্থার অধিকর্তা তথা ডিরেক্টর ছিলেন নুসরাত। আরেক ডিরেক্টর ছিলেন রাকেশ সিং। অভিযোগ, ২০১৪ সালে তার সংস্থা ৪২৯ জনের কাছ থেকে ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার রুপি করে নিয়েছিল ৩ বিএইচকে ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে। ৯ বছর কেটে যাওয়ার পর আজও ফ্ল্যাট পাননি কেউ। সেই সময় তিন বছরের মধ্যে ফ্ল্যাট হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।
বিজ্ঞাপন
কিছুদিন আগে বিজেপির যুব নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা এই প্রতারণার শিকার হওয়া মানুষগুলোকে নিয়ে ইডি দফতরে গিয়ে নালিশ জানিয়ে আসেন। নুসরাতের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মীদের টাকা মেরে তিনি নিজের ফ্ল্যাট কিনেছেন।
এর আগে প্রথম যখন নুসরাতের বিরুদ্ধে ফ্ল্যাট কেলেঙ্কারির খবর প্রকাশ পায় সেসময় সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন তিনি। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা দাবি করেছিলেন।