এতদিন কার্যত নিজের ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছিলেন জাহারা মিতু। কেননা, একের পর এক সিনেমায় কাজ করলেও নিজেকে নায়িকা হিসেবে পরিচয় দিতে পারছিলেন না তিনি।
মিতু অপেক্ষা করছিলেন। তিনি জানেন, অপেক্ষার ফল সুমিষ্ট হয়। তাই তো, অপেক্ষা করতে তার কোনো তাড়াহুড়ো নেই। অবশেষে অপেক্ষার পালা শেষ হলো। সেন্সরের বাধা টপকাল তার অভিনীত ‘কুস্তিগির’ সিনেমাটি। বুধবার সিনেমাটি সেন্সর ছাড়পত্র পায়। আর বৃহস্পতিবার পয়লা বৈশাখে খুশির খবর প্রকাশ করলেন এ নায়িকা।
বিজ্ঞাপন

সংখ্যার দিক থেকে ‘কুস্তিগির’ মিতুর পঞ্চম সিনেমা। তবে প্রথম সিনেমা হিসেবে এটি পেল সেন্সর ছাড়পত্র। এতে যারপরনাই উচ্ছ্বসিত তিনি।
ঢাকা মেইলকে মিতু বলেন, ‘আড়াই বছরের অপেক্ষা শেষ হলো। যতই শ্যুটিং করা হোক, সেন্সর বোর্ডের অনুমোদনের আগে নিজেকে পরিপূর্ণভাবে নায়িকা পরিচয় দিতে আমার আপত্তি ছিল। সেন্সর বোর্ডের সদস্য অঞ্জনা আপা ছবিটি দেখে আমাকে ফোনে প্রশংসা করেছেন, সাহস যুগিয়েছেন। অরুণা বিশ্বাস আপার সাথেও কথা হয়েছে। তিনিও বেশ উৎসাহ দিয়েছেন। তাদের মতো এত অভিজ্ঞতাসম্পন্ন শিল্পী যখন মাথায় হাত রাখেন, সত্যিই কাজের অনুপ্রেরণা বেড়ে যায়।’

বিজ্ঞাপন
গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী কুস্তি খেলা নিয়ে এই সিনেমার কাহিনি গড়ে উঠেছে। এ প্রসঙ্গে মিতু বলেন, ‘নাম থেকে বোঝা যায়, সিনেমাটি কুস্তি খেলার প্রেক্ষাপটে নির্মিত। এটি আমাদের গ্রামের ঐহিত্য হলেও এখন এই খেলা বিলুপ্তির পথে। তবুও এমন একটি গ্রাম যেখানে সবাই কুস্তি খেলাকে ধরে রেখেছে।’
ছবিতে গ্রামের চঞ্চল প্রকৃতির মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিতু। এতে তার নায়ক বাপ্পী চৌধুরী। এটি পরিচালনা করেছেন শাহীন সুমন।
এদিকে এখনই মিতুর অপেক্ষার পালা শেষ হচ্ছে না। ধৈর্য ধরতে হবে আরও মাস খানেক। কেননা, মে কিংবা জুন মাসে বড় পর্দায় দেখা মিলতে পারে তার। সুতরাং বলাই যায়, শুভস্য শীঘ্রম।
আরএসও

