মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালেন ডায়মন্ড

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১ এপ্রিল ২০২২, ১২:১৪ পিএম

শেয়ার করুন:

অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালেন ডায়মন্ড
কোলাজ: ঢাকা মেইল

তাল-লয়হীন বেসুরো গলায় গান গেয়ে সুতীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন হিরো আলম। তবুও তিনি থামেন না। সকল সমালোচনাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে উদ্ভট সংগীতচর্চা করে যাচ্ছেন।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে পশ্চিমবঙ্গের রানু মন্ডল ও ভুবন বাদ্যকর গান গেয়ে পরিচিতি পেয়েছেন। যদিও তাদের প্রকৃত অর্থে শিল্পীর কাতারে ফেলতে নারাজ সংগীতপ্রেমীরা। তারাও সুশীল সমাজের নেতিবাচক কথাবার্তা গায়ে মাখেন না।


বিজ্ঞাপন


Hero Alom Ranu Mondol
হিরো আলম ও রানু মন্ডল । ছবি: ফেসবুক

সংগীত নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করা হিরো আলম পৃথকভাবে গাইলেন ভুবন বাদ্যকর ও রানু মন্ডলের সঙ্গে। জানা গেছে, কলকাতায় গিয়ে তাদের সঙ্গে গান রেকর্ডিং করেন তিনি। ফেসবুকে সেই ছবি প্রকাশও করেছেন।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড মনে করেন, হিরো আলম, রানু মন্ডল ও ভুবন বাদ্যকর সংস্কৃতির ক্ষতিসাধন করছেন। তবে তার অভিযোগের আঙুল সরাসরি তাদের দিকে নয়। এই ত্রয়ীকে যারা চালনা করছেন তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালেন তিনি। 

Hero Alom Bhubon baddokor
ভুবন বাদ্যকরের সঙ্গে গাইলেন হিরো আলম । ছবি: ফেসবুক

ডায়মন্ড বলেন, “কিছু মানুষ নিজ স্বর্থে জেনে-বুঝে প্রতিনিয়ত সংগীত ও অভিনয় জগতের বারোটা বাজিয়ে যাচ্ছেন। অপসংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্রে ওইসব মহলের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হচ্ছেন আলম, রানু মন্ডল ও ভুবন বাদ্যকরের মতো সমাজে পিছিয়ে পড়া মানুষগুলো। এদের নিয়ে যারা মজা লুটার উদ্দেশ্যে সমাজ ও সংগীতকে কুলষিত করছেন, তাদের বিরুদ্ধে এখন প্রতিবাদ হওয়া খুব জরুরি। যে মানুষগুলো সংগীতের ‘স’ বোঝেন না, তাদেরকে স্টুডিওতে নিয়ে হেডফোন মাথায় পরিয়ে মাইক্রোফোনের সামনে দাঁড় করলেই কি সব হয়ে যায়?”

অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড বাংলাদেশের গুণী একজন নির্মাতা। তার প্রথম পরিচালিত চলচ্চিত্রের নাম ‘নাচোলের রাণী’। তেভাগা আন্দোলন ও কৃষক সাঁওতাল বিদ্রোহসহ দুঃখী মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য জীবনভর সংগ্রাম করা ইলা মিত্রকে নিয়ে ছবিটি নির্মাণ করেছিলেন তিনি। যদিও প্রথম ছবিটি মুক্তি দিতে যুদ্ধ করতে হয়েছিল তাকে।

Dimond
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার গ্রহণ করছেন অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড । ছবি: ফেসবুক

এরপর নির্মাণ করেন ‘গঙ্গাযাত্রা’। চলচ্চিত্রটির জন্য তিনি ২০০৯ সালে শ্রেষ্ঠ পরিচালক ও কাহিনিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এ ছাড়া তার উল্লেযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে ‘অন্তর্ধান’ ও ‘বাষ্পস্নান’। বর্তমানে ‘রোহিঙ্গা’ ও ‘কোভিড-১৯ ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামের দু’টি ছবি নির্মাণাধীন আছে।

আরএসও

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর