টিপ-কাণ্ডের পর থেকেই সহকর্মীদের সাথে নেই অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান। টিপ পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি পোস্ট করে প্রতিবাদ করেছিলেন অভিনয়শিল্পীরা। সিদ্দিক তাদের সেই প্রতিবাদে শামিল হননি। বরং উল্টো সবাইকে ‘পাগল’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন।
এবার নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে হিজাব পরায় শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ছাত্রীদের শারীরিকভাবে শাস্তির অভিযোগ ওঠায় সহকর্মীদের হিজাব পরতে উপদেশ দিলেন সিদ্দিক।
টিপ ও হিজাব দু’টি ঘটনা নিয়ে সহকর্মীদের সাথে এমন দ্বৈত আচরণের প্রসঙ্গ তুললে ঢাকা মেইলকে সিদ্দিক বলেন, ‘শিল্পী হই আর যেই হই, সবার আগে আমরা মানুষ। আমাদের যেমন মনুষ্যত্ব আছে, তেমন বিবেকও আছে। তাই কোনো ঘটনা ঘটলে বিচার-বুদ্ধি খাটিয়ে তার প্রতিবাদ করা উচিত।’
টিপকে ‘তুচ্ছ’ ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সামান্য একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার সহকর্মীরা সংসদে পর্যন্ত গিয়েছেন। সংসদ কি এত ছোট বিষয় নিয়ে কথা বলার জায়গা? অথচ কত বড় বড় ঘটনা ঘটে চলেছে, তাতে তাদের কোনো প্রতিবাদ নেই।’

‘পাগল’ বলে এক হাত নেওয়ায় সহকর্মীদের প্রতিক্রিয়া কী ছিল— জানতে চাইলে সিদ্দিক বলেন, ‘ঘটনাটির পর অনেকেই তাদের টিপ পরা ছবি সরিয়েছেন। আমি মনে করি তাদের বোধোদয় হয়েছে।’
বিজ্ঞাপন
হিজাব-কাণ্ডে শিল্পী সমাজের নীরবতাকে একপেশে ও তোষামোদি মনোভাব মনে করে তিনি আরও বলেন, ‘টিপে সরব হয়ে হিজাবে নীরব থাকাটা একপেশে মনোভাবের পরিচয়। একজন শিল্পীর কখনও একপেশে ও তোষামোদি হওয়া উচিত না। তাহলে সাধারণ মানুষের নেতিবাচক ধারণা জন্মাবে আমাদের নিয়ে।’
ছাত্রীদের প্রহারকারী শিক্ষিকার শাস্তির দাবি জানিয়ে সিদ্দিক বলেন, ‘টিপ নিয়ে লাঞ্চিত করায় একজন পুলিশ সদস্যের যদি শাস্তি হতে পারে, তাহলে হিজাব পরায় বাধাদানকারী শিক্ষিকাকেও আইনের আওতায় আনা উচিত।’

বছর খানেক আগে ধর্মের কারণে অভিনয় থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন সিদ্দিক। কিন্তু অভিনয় করছেন এখনও। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আসলে বেশ কিছু নাটকের কাজ চলছে। কাজগুলো নিয়ে আমি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সাথে চুক্তিবদ্ধ। এগুলো শেষ করতেই এখনও অভিনয় করতে হচ্ছে।’
রোজার ঈদে বেশকিছু নাটক আসছে সিদ্দিকের। এরমধ্যে একটি হচ্ছে, ‘খোদা হাফেজ ঢাকা’। নাটকটিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন তানিন তানহা। নির্মাতা সিদ্দিক নিজেই। ঈদে প্রচারের অপেক্ষায় থাকা তার অন্যান্য নাটকগুলো হলো— ‘বউয়ের বয়ফ্রেন্ড’, ‘চোরের প্রেম’, ‘এঙ্গেজমেন্ট’, ‘চলো পালাই’ প্রভৃতি।
আরআর/আরএসও

