সিনেমা নির্মাণ করতে এসে বেশ প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়েছে নন্দিত নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে। এবার সেরকমই একটি অভিজ্ঞতা তুলে ধরলেন সামাজিক মাধ্যমে। সিনেমাকে সাংস্কৃতিক নেতারা এখনও আর্ট-কালচারের অংশ মনে করেন না বলেও মন্তব্য করলেন তিনি।
আজ রোববার নিজের ফেসবুকে ফারুকী লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ মোটামুটি একটা কৌতুকের কারখানা। প্রিয়ভাজন সিনা হাসানের মারফত জানা গেল, শিল্পকলা একাডেমিতে ড্রামস ঢুকতে দেওয়া হয় না। দেশীয় সংগীত রক্ষার কঠিন ব্রত থেকে লিয়াকত আলী লাকী সাহেবের অফিস এই কারবার করছে। যদিও মামারা হারমোনিয়াম- ভায়োলিন ঢুকতে দেয় যেন ওসব দেশি!’
বিজ্ঞাপন
এ নির্মাতা আরও বলেন, ‘এর আগে আমরা একবার শুটিংয়ের অনুমতি চেয়েছিলাম লেডিজ অ্যান্ড জেন্টলমেনের জন্য। তখন ওনার অফিস জানিয়েছিল শিল্পকলায় শুটিংয়ে অনুমতি নেই! কারণ না বললেও বুঝতে সমস্যা হয় না, সিনেমাকে আমাদের সাংস্কৃতিক নেতারা এখনও ঠিক আর্ট-কালচারের অংশ মনে করেন না। যে কারণে মনে আছে, সোনার বাংলা সাংস্কৃতিক বলয়ে সিনেমার কোনো জায়গা ছিল না? সেটা নিয়ে তখন তারেক মাসুদ লিখছিলেনও কোথাও বোধ হয়। তো এইসব শিল্পকলা সাহেবরা সিনেমাকে অপসংস্কৃতি মনে করেন, রক মিউজিকরে অপসংস্কৃতি মনে করেন!’
ফারুকী বলেন, ‘কিন্তু দূর্নীতি অপসংস্কৃতি না। আজীবন চেয়ার আঁকড়ে থাকা অপসংস্কৃতি না। নাকি দূর্নীতি, ক্ষমতা আঁকড়ে রাখা হাজার বছরের বাংলা সংস্কৃতির অংশ? আরেকটা কথা, লাকী সাহেব বিদেশি বা অপসংস্কৃতির মধ্যে আর কী কী ঠেকিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নিছেন। উনি কি এখনও খোলা জায়গায় টয়লেট করেন নাকি বিদেশী স্যানিটারি সিস্টেম ব্যবহার করেন? মোবাইল ফোন কি এস্তেমাল করেন নাকি বিদেশি বলে নিষিদ্ধ করে রাখছেন?’

