দেশজুড়ে চলা তীব্র তাপদাহের কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। আগামীকাল ৫ জুন থেকে ৮ জুন পর্যন্ত শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
রোববার (৪ জুন) দুপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশব্যাপী বিদ্যমান তীব্র তাপদাহের কারণে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিবেচনা করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম আগামী ৫ জুন সোমবার থেকে ৮ জুন বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
গত কয়েক দিন ধরে রাজধানীসহ সারাদেশের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র থেকে মৃদু তাপপ্রবাহ। আগামী তিন দিনও তা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। রোববার (৪ জুন) সকালে আবহাওয়া অধিদফতরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, রাজশাহী, দিনাজপুর, নীলফামারী, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসমূহের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি ঢাকা ও বরিশাল বিভাগসহ রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও ফেনী জেলাসমূহের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে তীব্র গরমে জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা। কাঠফাটা রোদে বাইরে বের হলে শরীর পুড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। অনেকে এই গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তাছাড়া সম্প্রতি দেশে বিদ্যুতের অসহনীয় মাত্রার লোডশেডিং শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় শিশু শিক্ষার্থীদের কষ্টের কথা বিবেচনা করে মন্ত্রণালয় শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল।
বিজ্ঞাপন
তাপপ্রবাহের কারণে দেশে নানাবিধ গরমজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। হিটস্ট্রোক বাড়ার পাশাপাশি ডায়রিয়াসহ নানা রোগ বাড়ছে। এ অবস্থায় গরমে রোগ থেকে বাঁচতে জনগণকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। একইসঙ্গে রোগ থেকে বেঁচে থাকতে খাবার গ্রহণ ও পানি পানে সতর্ক করেছেন তারা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গরমে শিশু থেকে বয়স্ক সবাই ঝুঁকিতে রয়েছে। এ সময় অতিরিক্ত ঘাম হিটস্ট্রোকের কারণ হতে পারে। ফলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে পানির উৎস যেন নিরাপদ হয়। একইসঙ্গে গরমে খাবার গ্রহণেও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ তাদের।
জেবি