বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

অনলাইনে ক্লাস চান না কুবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৩ মে ২০২৩, ১২:২৭ পিএম

শেয়ার করুন:

অনলাইনে ক্লাস চান না কুবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্র সাধন এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে গত বছরের ২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার সশরীরে ক্লাস বন্ধ রেখে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) প্রশাসন। তবে অনেকগুলো বিভাগ অনলাইন ক্লাসের পরিবর্তে ক্লাসরুমে পাঠদান করাচ্ছেন। ফলে কঠিন রুটিনে সেমিস্টার শেষ করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। ফলে অনলাইন ক্লাসের পরিবর্তে শ্রেণিকক্ষে ফিরতে চেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বিভিন্ন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার অনলাইনে ক্লাস রুটিন থাকলেও নিয়মিত ক্লাস হয় না বিভাগগুলোতে। এতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উভয়ের অনীহা রয়েছে বলে জানা গেছে।


বিজ্ঞাপন


গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) কাজী এম. আনিছুল ইসলাম বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমাদের বিভাগে অনলাইন ক্লাস হয় না, তা ঠিক। কিন্তু আমরা চেষ্টা করি অন্যান্য দিনগুলোতে শিক্ষার্থীদের ব্যস্ত রেখে ক্লাস গুলো নিয়ে নিতে।

এদিকে, করোনা মহামারির পর অনলাইন ক্লাসকে ক্ষতির কারণ হিসেবে দেখছেন গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো আবদুল হাকিম। তিনি বলেন, অনলাইন ক্লাসের মধ্যে শিক্ষার্থীরা প্রকৃত পাঠ গ্রহণ করতে পারে না। প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাসে আগ্রহ হারাচ্ছে। তাছাড়া অনলাইন ক্লাসের নামে বিশ্ববিদ্যালয় একদিন বন্ধ থাকার দরুন সৃষ্টি হতে পারে সেশনজট। আমি চাই সশরীরে ক্লাসে ফিরে যাওয়া হোক।

এদিকে কৃচ্ছ্রসাধনের কথা চিন্তা করে এসি বন্ধ রাখাসহ বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছিল প্রশাসন। তবে সে নির্দেশনা মানেননি খোদ উপাচার্যই। এছাড়াও গত বছরের আগস্ট মাসে নতুন করে ৩৬টি এসি লাগানো হয়েছে বিভিন্ন বিভাগ, বিভাগীয় প্রধান, ডিন ও প্রাধ্যক্ষসহ বিভিন্ন শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের কক্ষে।

এদিকে, অনলাইন ক্লাসের পরিবর্তে সশরীরে ক্লাসে ফিরতে বিভিন্ন সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও দাবি জানিয়ে আসছে শিক্ষার্থীরা। তবে এসব বিষয় দেখেননি বলে দাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম. আবদুল মঈনের।


বিজ্ঞাপন


এ বিষয়ে গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়সাল বলেন, সপ্তাহের তিনদিনই ক্যাম্পাস বন্ধ থাকে। মাঝে মাঝে সরকারি ছুটির কারণে সেটি আরও বেড়ে যায়। এতে আমাদের ক্লাসের সংখ্যা কমে যায়। চাপ বাড়ে পরীক্ষায়। এভাবে দীর্ঘ সময় এভাবে চললে আমরা ভয়ংকর সেশনজটে পড়ব।

সিএসই বিভাগের ১২তম আবর্তনের শিক্ষার্থী সম্রাট বলেন, বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকায় বাড়তি চাপ পড়ে সেমিস্টার পরীক্ষা, ল্যাব ও ব্যবহারিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা বৃহস্পতিবার সশরীরে ক্লাসে ফিরে যেতে চাই।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, সামনের বাজেটের ওপর ভিত্তি করে আমাদের পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। অনলাইনে যাতে নিয়মিত ক্লাস হয় তার জন্য আমরা বিভাগগুলোর সঙ্গে কথা বলেছি।

এদিকে, অনলাইন ক্লাসের বিষয়ে কথা বলতে চান না উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম. আবদুল মঈন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কোনো কথা বলতে চাই না।

টিবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর