শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণসহ সরকারের কাছে সাত দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি। রোববার (১৯ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানায় শিক্ষক সমিতি। দাবি আদায়ে তিন মাসব্যপী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিলকিস জামান সাত দফাগুলো তুলে ধরেন। তাদের দাবিগুলো হলো- শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ, শিক্ষকদের পূর্ণাঙ্গ বাড়িভাড়া, উৎসব ভাতা ও চিকিৎসা ভাতা প্রদান, বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেলের অনুরূপ বেতন স্কেল নির্ধারণ, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর সুবিধাবোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে আর্থিক সুবিধা প্রদানের পরিবর্তে পূর্ণাঙ্গ পেনশন চালু করা।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও জানান, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ শিক্ষকদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে অনুপাত প্রথা বাতিল ও প্রভাষকদের ‘জ্যেষ্ঠ প্রভাষক' নামকরণের পরিবর্তে পূর্বের 'সহকারী অধ্যাপক' পদ বহাল রাখা, বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষদের দু'টি উচ্চতর গ্রেড প্রদান এবং বেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সকল পদের নিয়োগ এনটিআরসি এর মাধ্যমে করার ব্যবস্থাকরণের দাবি জানানো হয়।
এ সময় ৭ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে তিন মাসব্যাপী কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এসব কর্মসূচির মধ্যে ৩০ মার্চ সারাদেশের জেলা সদরে মানববন্ধন, ৬ এপ্রিল সারাদেশে জেলা সদরে শিক্ষক-কর্মচারী সমাবেশ ও সমাবেশ শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান এবং ৬ মে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষক-কর্মচারী সমাবেশের ঘোষণা দেন শিক্ষক নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি এম এ আউয়াল সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য দেন অধ্যক্ষ সমরেন্দ্রনাথ রায় সমর, অধ্যাপক মো. ফজলুল হক খান, অধ্যাপক মধুসুদন বাগচী, অধ্যাপক বিপ্লব কুমার সেন প্রমুখ।
পিএস/এমআর