পূর্বঘোষণা অনুযায়ী ক্যাম্পাসে ভ্রাম্যমাণ হকার উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাবির টিএসসি এলাকা ছাড়াও দোয়েল চত্বর, ভিসি চত্বর, সলিমুল্লাহ হলের আশেপাশের এলাকাসহ জগন্নাথ হলের সামনে থাকা ভ্রাম্যমাণ দোকান উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড মুহাম্মদ আখতারুজ্জামান ক্যাম্পাস থেকে ভ্রাম্যমাণ দোকান উচ্ছেদের ঘোষণা দেয়। পরে ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) প্রথমবারের মতো উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।
বিজ্ঞাপন
দ্বিতীয় দিনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে প্রক্টর অধ্যাপক ড এ কে এম গোলাম রব্বানী ক্যাম্পাসে ঘুরে ঘুরে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যদের অবৈধ হকারদের মালমাল জব্দ করেতে দেখা যায়। সেই সঙ্গে অভিযানের ধারাবাহিকতা দেখে তাৎক্ষণিক কিছু ছাত্রকে প্রক্টরকে ধন্যবাদ জানাতেও দেখা যায়।
অভিযানের বিষয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী ঢাকা মেইলকে বলেন, প্রশাসনের এমন ধারাবাহিক অভিযানে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ সমুন্নত থাকবে। এই অভিযান ক্যাম্পাসকে জনসাধারণের হট্টগোল অথবা আড্ডার জায়গা না করে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ একটু হলেও বজায় রাখতে সাহায্য করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করে তারা।
ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সিয়াম শেখ ঢাকা মেইলকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন শক্ত অবস্থান নিশ্চিতভাবেই প্রশংসা দাবিদার। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ে দার্শনিক, মানবপ্রেমী, কবি হওয়ার পরিবেশ থাকুক। কিন্তু তা আদৌও সম্ভব কি-না জানি না। তবে প্রশাসনের এমন অভিযান অব্যাহত রাখা প্রয়োজন।
বিজ্ঞাপন
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ সমুন্নত রাখতে এবং অস্বাস্থ্যকর খাবারের দোকান উচ্ছেদ করতেই আমাদের এই অভিযান। আমরা এর আগে তাদের দোকান অপসারণে কথা বললেও তারা তা আমলে নেয়নি। তাই এই স্বার্থান্বেষী মহলের বিরুদ্ধে প্রশাসনের এই পদক্ষেপ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন অভিযান কতদিন পর্যন্ত চলমান থাকবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যতদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ আদর্শ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো না হবে, ততদিন প্রশাসন এর জন্য কাজ করে যাবে।
প্রতিনিধি/আইএইচ

