ভাষার জন্য রক্ত দেওয়া জাতির বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে এর ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রতি বছরের মতো দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালনের লক্ষে একটি কেন্দ্রীয় কমিটি এবং বিভিন্ন উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি দিবসটি পালনের বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
বিজ্ঞাপন
রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাত ১২টা ১ মিনিটে একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদীতে প্রথমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রীবর্গ, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা। এরপর পর্যায়ক্রমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন তিন বাহিনীর প্রধানবৃন্দ, সম্মানিত ভাষা দৈনিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সম্মানিত সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, অনুষদের ডিনবৃন্দ ও হলের প্রাধ্যক্ষবৃন্দ।
ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও আজিমপুর কবরস্থানে যাতায়াতের জন্য একটি রুট-ম্যাপও প্রকাশ করা হয়েছে। তা যথাযথভাবে অনুসরণ করার জন্য কমিটির পক্ষ থেকে সবার প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।
অমর একুশে উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে-২১ ফেব্রুয়ারি ভোর ৬টা ৩০ মিনিটে উপাচার্যের নেতৃত্বে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে প্রভাতফেরি সহকারে আজিমপুর কবরস্থান এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গমন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ।
বিজ্ঞাপন
ভাবগাম্ভীর্য ও মর্যাদার সাথে অমর একুশে পালনের লক্ষ্যে শহীদ মিনার এলাকায় কোনো মিছিল বা সমাবেশ করা যাবে না এবং সেখানে কোনো ব্যানার, পোস্টার বা ছবি টাঙানো যাবে না বলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ।
প্রবেশপথে বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং শহীদ মিনার এলাকার সার্বিক নিরাপত্তায় থাকবে বিএনসিসি, রেড ক্রিসেন্ট, রোভার স্কাউটস, রেঞ্জার, ডিএমপি, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখার স্বার্থে একুশে উদযাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির নেওয়া সব কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে উপাচার্য সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন।
প্রতিনিধি/জেবি