মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

নির্যাতনের শিকার ইবি ছাত্রীর বক্তব্য শুনছে তদন্ত কমিটি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০২:১৩ পিএম

শেয়ার করুন:

নির্যাতনের শিকার ইবি ছাত্রীর বক্তব্য শুনছে তদন্ত কমিটি

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে নির্যাতনের শিকার সেই ছাত্রীর বক্তব্য শুনছে তদন্ত কমিটি। নির্যাতনের ঘটনায় হল প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির কাছে সাক্ষ্য দিতে বাবা-মামার সঙ্গে হলে আসার পর মেয়েটির বক্তব্য শুনছেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা।

শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. আহসানুল হকের নেতৃত্বে হল কর্তৃপক্ষের গঠিত তদন্ত কমিটির ডাকে হলে প্রবেশ করেন নির্যাতনের শিকার মেয়েটি। এ সময় তার বাবা ও মামাকেও হলে ঢুকতে দেখা যায়। এখন ওই ছাত্রীর বক্তব্য শুনছে তদন্ত কমিটি।


বিজ্ঞাপন


কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- হলের আবাসিক শিক্ষক, হিসাববিজ্ঞান ও তথ্যপদ্ধতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইসরাত জাহান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারে অধ্যাপক মৌমিতা আক্তার এবং হলের শাখা কর্মকর্তা সহকারী রেজিস্ট্রার আবদুর রাজ্জাক।

অভিযোগকারী ওই ছাত্রীর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

হলটির প্রাধ্যক্ষ শামসুল আলম বলেন, ওই ছাত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি আজ হলের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ডেকে পৃথকভাবে ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

গত রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে ইবির দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে এক নবীন ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া যায়। ওই ঘটনায় গত মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) হল প্রভোস্ট, প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা। তিনি পরিসংখ্যান বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষের ছাত্রী। এসময় তার সঙ্গে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের তাবাসসুমসহ আরও কয়েকজন ছিলেন।


বিজ্ঞাপন


আবেদনে বলা হয়, ইবিতে ভর্তির কয়েক দিনের মাথায় ছাত্রলীগ নেত্রীদের নিষ্ঠুরতার শিকার হন এক ছাত্রী। নেত্রীদের কথা না শোনার অভিযোগ তুলে ওই ছাত্রীর ওপর সাড়ে চার ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চালানো হয়। অকথ্য ভাষায় গালাগাল, মারধর, বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করা হয়। ঘটনা কাউকে জানালে তাঁকে মেরে ফেলার হুমকিও দেন নেত্রীরা। ভয়ে ওই শিক্ষার্থী বাড়ি চলে যান। গত রোববার রাতে ইবির ছাত্রী হলের গণরুমে এ ঘটনা ঘটে। গত মঙ্গলবার প্রক্টর, হল প্রভোস্ট ও ছাত্র উপদেষ্টার কাছে ওই ছাত্রী লিখিত অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে গত বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্রীকে রাতভর মারধর ও শারীরিক নির্যাতন করে ভিডিও ধারণের ঘটনা হাইকোর্টের নজরে আনা হয়। ঘটনাটি নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন হাইকোর্টের নজরে আনেন আইনজীবী গাজী মো. মহসীন ও আইনজীবী আজগর হোসেন তুহিন। তখন আদালত আইনজীবীদের লিখিত আবেদন নিয়ে আসতে বলেন। এরই ধারাবাহিকতায় একটি রিট করা হয়। 

এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর