শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

জাবি শিক্ষক জনির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ  

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৫:৪৪ পিএম

শেয়ার করুন:

জাবি শিক্ষক জনির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ  
ছবি : ঢাকা মেইল

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের দায়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনিকে বহিষ্কারসহ তিন দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা।

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। পরে নতুন প্রশাসনিক ভবনে সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।  


বিজ্ঞাপন


সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়নের জাবি সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক আলিফ মাহমুদ বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনি তার অপকর্ম দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে অপকর্মের আতুরঘরে পরিণত করেছে। তিনি স্পষ্টত আইন লঙ্ঘন করেছেন। তার অপরাধ তদন্তের ক্ষেত্রে নিজ দলীয় লোক দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে সাদা কাগজের রিপোর্ট প্রদান করা হয়েছে। যার ফলে দেখা যাচ্ছে  সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি। যে প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিবে তারাই নিপীড়ককে বাঁচাতে উঠে পড়ে লেগেছে। জনির পদত্যাগপত্র লুকিয়ে রাখা তার আরেকটি প্রমাণ। এছাড়া সিন্ডিকেটে পাশ হওয়ার পরেও প্রশাসন প্রায় এক মাস সময় নিয়েছে তদন্ত কমিটি তৈরি করতে। জনিকে বাঁচাতে তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে ৷ আমাদের দাবি অবশ্যই তার বিচার করতে হবে এবং জনিকে বাঁচাতে যারা সহযোগিতা করছে তাদেরও বিচারের কাঠগড়ায় উঠাতে হবে।

এসময় সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৌমিক বাগচি বলেন, শিক্ষকদের যেখানে জ্ঞানের কথা বলার কথা, সেখানে অনেকে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা যেমন মার্ক বৃদ্ধি, শিক্ষার্থীদের সাথে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করে শিক্ষক বানানোর প্রলোভন দেখানোর অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এমনকি ছাত্রদের 'ফকিন্নির বাচ্চার' মত শব্দ উচ্চারণ করে অশিক্ষকসুলভ আচরণও করছেন। যার কাছে আমরা বিচার চাইতে যাব, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে যিনি সর্বোচ্চ পর্যায়ে আছেন (প্রক্টর)  তার বিরুদ্ধেই অভিযোগকারীকে জোরপূর্বক দায়মুক্তি-পত্র লেখানোর অভিযোগ উঠেছে। অথচ এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কিংবা তার কাছ থেকে  কোনো অফিসিয়াল বক্তব্য পাওয়া যায় নি । ভ্রণ হত্যার মত অভিযোগ যার বিরুদ্ধে, আই ওয়াস করা তদন্ত কমিটি তার কোনো অভিযোগের সত্যতাই খুঁজে পেলেন না। সিন্ডিকেটে অনেক কিছুই আলোচনাই হয় কিন্তু যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নৈতিক অবস্থান ক্ষুণ্ন করছেন সে বিষয়ে আলোচনা হয় না। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আমরা শিক্ষক মূল্যায়ন পদ্ধতিরও দাবি জানাচ্ছি ।"

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক কনোজ কান্তি রায় বলেন, নারী নিপীড়নের সাথে, একাডেমিক কেলেঙ্কারি সাথে যুক্ত একজন শিক্ষক কোন ক্ষমতা বলে ক্যাম্পাসে বিনা বিচারে থাকতে পারে তাই বুঝে উঠতে পারি না। তদন্তে প্রাথমিক সত্যতা যাচাই কমিটিকে প্রথম থেকেই ভয় পাচ্ছিলাম কারণ তারা ছিল দলীয় লোক। এই প্রহসনমূলক তদন্তের নিন্দা জানাই৷ জনি'র স্কান্ডালের সাথে যুক্ত হয়েছেন আমাদের প্রক্টর,সহকারী প্রক্টর স্যার। একজন প্রক্টর কিভাবে জোর করে অভিযোগকারীকে দিয়ে দায়মুক্তিপত্র লেখাতে পারেন! তার বিরুদ্ধে জনিকে রক্ষার যে রিপোর্ট হয়েছে সেটা নিয়ে তিনি তার অবস্থানও পরিষ্কার করেননি। ফলে আমরা ভয় পাচ্ছি, এমন ঘটনা যদি আমাদের কারো সাথে ঘটে এবং অভিযোগ দিতে গেলে যদি প্রশাসন অভিযোগপত্র হাওয়া করে দেয়, তখন সাধারণ শিক্ষার্থী কোথায় যাবে, কার কাছে বিচার চাইবে। 

শিক্ষার্থীদের অন্য দাবি দুটি হলো—অভিযুক্ত শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির দায়মুক্তির ষড়যন্ত্রে প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরের সংশ্লিষ্টতার তদন্ত এবং শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ সাপেক্ষে এক মাসের মধ্যে শিক্ষক মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করা।


বিজ্ঞাপন


প্রতিনিধি/এইচই

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর