শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

ইবিতে পরিবেশ বিভাগের পিঠা-পার্বণ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারি ২০২৩, ০৭:৩৪ পিএম

শেয়ার করুন:

ইবিতে পরিবেশ বিভাগের পিঠা-পার্বণ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মুখরোচক ও বাহারি পিঠা-পুলির আয়োজন করেছে ‘পিঠা পার্বণ’। প্রায় ৩০ রকমের পিঠা নিয়ে এই পিঠা উৎসব আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও ভূগোল বিভাগের তৃতীয় ব্যাচের (২০১৯-২০) শিক্ষার্থীরা। 

রোববার (২২ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা প্রাঙ্গণে চলে দিনব্যাপী এই আয়োজন। মাটির প্লেট এবং কলাপাতায় পিঠা পরিবেশন করা হয়। দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে পিঠা পার্বণ শেষ হয়।


বিজ্ঞাপন


পিঠা পার্বণ উদ্বোধন করেন পরিবেশ বিজ্ঞান ও ভূগোল বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক ইনজামুল হক। এসময় সহকারী অধ্যাপক বিপুল রায়সহ বিভাগের অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। 

eb

পিঠা উৎসবে বাঙালির জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী পিঠা-নকশি পিঠা, দুধ চিতুই, দুধ পাকান, পাটি সাপটা, সেমাই পিঠা, জামাই পিঠা, ডাল পুলি, নারকেল পুলি, মাংস পুলি, মুগ পাকান, পায়েস, খাজা, সুজির বড়া, খেজুর, নুডলস পাকরা, বিস্কুট পিঠা, ঝিনুক, জর্দা, বুটের হালুয়া, কেক, চাপড়ি, গোলাপ পিঠা, হৃদয়হরণ পিঠা, চিকেন রোল ও পাকোরাসহ ইত্যাদি পিঠার আয়োজন করেন শিক্ষার্থীরা। 

এছাড়াও পিঠা উৎসব স্টলে খড়-কলাপাতা, কলাগাছ, রঙিন হাড়ি ইত্যাদির মাধ্যমে গ্রামীণ আবহ তুলে ধরা হয়। গ্রাম বাংলার অতি পরিচিত বিয়ের পালকি ফটোফ্রেম হিসেবে রাখা হয়। উৎসবকে অংশগ্রহণমূলক করতে দর্শকদের উদ্দেশ্য কয়েন গেমসের ব্যবস্থাও করেছিলেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।


বিজ্ঞাপন


পিঠা পার্বণে আসা আল-ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান বলেন, পিঠা এবং মেলা বাঙালি জাতি সত্ত্বার সাথে মিশে আছে। মেলায় ঝামেলা ছাড়াই হাতের নাগালে বিভিন্ন পিঠা খেতে পাচ্ছি। দামও কম আবার খেতেও বেশ সুস্বাদু। তাই আমি ক্যাম্পাসের এসব মেলায় বন্ধুদের নিয়ে আসি।

eb3

বিভাগের সভাপতি বলেন, বিভাগ থেকে এরকম প্রোগ্রাম আরও হোক এবং ক্যাম্পাসের অংশগ্রহণমূলক কাজে বিভাগের শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্ত অবদান রাখুক এই প্রত্যাশা।

উল্লেখ্য, পিঠা তৈরির কাজে নিয়োজিত ছিলেন বিভাগের শিক্ষার্থী তামান্না ফেরদৌস, রাবেয়া সুলতানা মিম, নুসরাত জাহান মিতু, তামান্না ইয়াসমিন, তানিসা রহমান, পল্লবি বাগচী, মৌসুমি মৌ, অনন্যা তাসনিম ও সানজিদা ইসলাম। 

এছাড়াও সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন আব্দুর রহমান শোভন, মোহাম্মদ আলী, নয়ন, নোমান, লাবিব, সোহান, রিফাত, লিমন ও রুপমসহ বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা। 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর